গোপালগঞ্জে ৩২ হাজার টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

গোপালগঞ্জে ৩২ হাজার টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

Published : ১৫:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০২৪

গোপালগঞ্জে ৩১ হাজার ৯৩৭ টন ৫০০ কেজি রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ফলে জেলার ৫ উপজেলায় ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ চলছে। এখন কৃষক আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেলার ৮৫ ভাগ জমিতে আমন ধানের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ ধানের আবাদ সম্পন্ন হবে। বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে বা হাট-বাজার থেকে ধানের চারা কিনে এনে জমিতে রোপন করছেন তারা।

কৃষকরে মধ্যে রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ ধান আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। প্রতি হেক্টরে এ ধানের গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ২.৫ টন।

সে হিসাবে এ জেলায় ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে ৩১ হাজার ৯৩৭ টন ৫০০ কেজি রোপা আমন ধান উৎপাদনের আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, এ উপজেলায় ২৯৮৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক ২৫০০ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ সম্পন্ন করেছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষক বোরো, আউশ ও আমান সহ ধব ধরনের ধানের আবাদ করছেন। 

সব মৌসুমেই কৃষক ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এতে জেলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে কৃষকের আয় বাড়ছে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ ৫ হাজার কৃষককে পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২৪০০ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও
এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব উপকরণ দিয়ে কৃষক ৭ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। এতে জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। 

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement