বিনাধান-২০’র চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

বিনাধান-২০’র চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

Published : ২৩:১৫, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত জিংক ও আইরন সমৃদ্ধ বিনাধান-২০ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বাসাবাড়ি গ্রামে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিনা’র মহাপরিচালক ড.মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লোকমান হাকিম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষক মোঃ লিয়াকত হোসেন, ফার্ম ম্যানেজার আলমগীর কবির, কৃষক দিপংকর সরকারসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। মাঠ দিবসে বাসাবাড়ি গ্রামে শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেন।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভিয়েতনামের রেডরাইজ ধানের বীজের সঙ্গে বাংলাদেশের বীনাশাইল ধানের বীজের সংমিশ্রণে এ শংকর জাতের বীজ তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বীজ বিভাগ ২০১৭ সালেই এ ধানের বাণিজ্যিক চাষের অনুমোদন দেয়। জিংক ও আইরন  সমৃদ্ধ নতুন জাতের বিধাধান-২০ এ জেলায় হেক্টরে প্রায় ৫ টন ফলন দিয়েছে। সাধারণ জাতের আমনের জীবনকাল ১২০ দিন হলেও এটি ১১০ দিনেই ঘরে তোলা যায়।

তিনি আরও বলেন, বিনা-২০ জাতের ধান অত্যন্ত স্বাস্থ্য সম্মত। প্রচলিত আমনের সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জিংক এবং আয়রন। এছাড়া অন্য ধানের মত কার্ব-হাইড্রেড ও ফ্যাটও আছে। এ ধান উৎপাদনে সার এবং সেচের প্রয়োজন প্রচলিত আমনের তুলনায় খুবই
কম। 

এ জাতের ধানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। তাই কীটনাশকের প্রয়োজন নেই বললেই চলে। বিনা-২০ জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল শুধু ভাত নয়, চিড়া, মুড়ি, খই ও পিঠা তৈরিতেও সহায়ক। সবচেয়ে বড় কথা এ জাতের চাল খুবই সুস্বাদু। 

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement