‘পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ’

‘পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ২৩:২৪, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ জানিয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাসুদ করিম বলেছেন, তবুও সংরক্ষণের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ সংরক্ষণে সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। এটা সম্প্রসারণ করতে পারলে পেঁয়াজ আমদানি করা লাগবে না।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব। শুধু পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য কৃষি পণ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে মাঝে আরও সচেতনতা বাড়বে।

শনিবার যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হোটেল অডিটোরিয়ামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় কৃষি বিপণন আইন ও নীতি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ করিম বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। ভোক্তার বিষয়টি দেখে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুটো আলাদা প্রতিষ্ঠানের কাজ অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। এটা উচিত নয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে কৃষি পণ্য বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কাজ করছে। কৃষি বিপনণ ব্যবস্থার উন্নয়নে অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সব কাজ সম্পন্ন করতে হলে বিনিয়োগ দরকার। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সরকার কৃষি পণ্য বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে।

ইউএসএআইডির ফিড দি ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি প্রকল্পের সহায়তায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহনাজ বেগম।

কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা ও লিংক পলিসির সিনিয়র ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ। কর্মশালায় কৃষিপণ্য উৎপাদক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেন।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement