নিজের সক্ষমতা ও অন্যান্য
Published : ১৪:৩২, ৯ অক্টোবর ২০২৪
অভিমান
চলো,তারচেয়ে বরং
আমরা জীবনের সুখ দুঃখ নিয়ে কথা বলি।
কথা বলি সমাজ সংসার
আজকের দৈনিকের শিরোনাম
স্বর্ণের ভরির হিসেব কিংবা নিয়ে
সামাজিক মাধ্যমে চলমান বিষয়াবলী।
আর কিছু না পেলে স্বামীর
অবহেলা, বেহায়াপনা না হয় ঔদ্ধত্য!
কথা বলার বিষয় হিসেবে শ্বশুর বাড়ি
জিনিস টাও বেশ আকর্ষণীয়।
বোনে বোনে কথা বলার টপিক হিসেবে
এগুলোর সবকটাই বেশ যুতসই।
চলো তারচেয়ে না হয় আমরা দুটো
কবিতা ই আওড়াই,আবৃত্তি না হোক
অন্তত ঘন্টাখানেকের খুনসুটি!
সব কথা শেষ হলে দু বোনেতে মিলে
ভাতে মেখে খাই বাসি তরকারি
রাত বেশি বেড়ে গেলে
আমরা আর আমাদের বাড়িতে না ফিরি
সেক্ষেত্রে বাসির বদলে টাটকা এক দু-পদ
রান্না হতে পারে অবলীলায়।
রাতে সব কথা শেষ হলে
কানের কাছে মুখ এনে লজ্জাবনত নয়নে
নতুন কিংবা প্রথমের আগমন হবে জানাজানি।
হয়তো আমার জায়গায় তুমি
হয়তো তোমার জায়গায় আমি।
তবে সব কথা শেষেও
এ কথা বাকি থেকে গেলে
এরপর আর কোনদিন
এ বিষয়ে কথা হবেনা আমাদের।
কথা হবে জীবনের সুখ দুঃখ
স্বামী সংসার দেশ এমন কি
সদ্য শেষ করা বিদেশ ভ্রমণ নিয়েও!
একটা প্রথমের খবর এতো কাছাকাছির পরেও
যদি পেতে হয় টিভি,রেডিও কিংবা সামাজিকে
তবে এই কি ভালো নয়?
তখন আমরা বরং
জীবনের সুখ দুঃখ নিয়ে কথা বলি।
কথা বলি সমাজ সংসার
দৈনিকের শিরোনাম
স্বর্ণের ভরির হিসেব কিংবা
আর সবেতে চলমান বিষয়াবলী।
অভিমান!কথা বলার টপিক হিসেবে এ জিনিস টা
বরাবর ই আমার লেগেছে ভীষণ বিচ্ছিরি!
অত ভালো কিছু নই
আমি অতটা কবিতা নই
যতটা ভেবে কৃপাপ্রার্থী তরু
জলের আশায় উন্মুখ হয়ে
বসে থাকতে পারে আকাশের পানে!
অতটা কবিতা নই
বিস্মৃত নিজেকে খুঁজে পাওয়া পাঠকের
দুঃখ দুর্দশার দৈনন্দিনে!
আমি অতটা কবিতা নই
যতোটা ভেবে আহার নিদ্রা ভুলা
কবি কাটাতে পারে তৃষ্ণার্ত প্রহর!
আমি অতটা কবিতা নই
কারোর অতটা নির্ভরতা নই
যেমন শিশু শতভাগ মায়ের উপর।
এ আপনার ভুল,
ভাঙাানোর দায়িত্ব আমার
এ আমি ভাঙ্গাতেই পারি
কেননা আমি অতটা কবিতা নই
রক্ত মাংসের মানবী!
কারোর আকাশ কিংবা
পুরোটা কবিতা তো নই।
নিজের সমকক্ষতা
হয়তো পুরোটা দিন শেষ করে
একটা কবিতা লিখলাম
যেটা আমকে সন্তুষ্ট করলো
কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম
এটাই আমার সার্থকতা।
আমি জানতাম এখানেই
একজন উঠতি ডাক্তারের সাথে
আমার,একজন নব্য কবির মিল
আমরা পুরো টা দিন ব্যয় করি
সন্তুষ্টির পেছনে
একটা বা দুটো।