বই পড়ার উপকারিতা
Published : ২২:২৫, ৯ নভেম্বর ২০২৪
আত্ম উন্নয়নের জন্য কার্যকরী অন্যতম একটি উপায় বই পড়া। কাগজের বই বলুন আর ই-বুক কিংবা আর্টিকেল, অবসর সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহার করতে চাইলে বই পড়ার জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া বই পড়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
চলুন জেনে নেই বই পড়ার উপকারিতা:
১) কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করে
একজন পড়ুয়া ব্যক্তির কল্পনা এবং একজন সাধারণ মানুষের কল্পনার মাঝে বিস্তর ব্যবধান থাকে। বই পড়ুয়া ব্যক্তি চাইলেই তার ভাবনার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অলিগলি বিচরণ করে আসতে পারে এবং নিজের জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজন অনুপাতে নিতে পারে শিক্ষা।
২) ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করে
জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে সবারই অনুপ্রেরণা প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে সফল মাধ্যম বই। নিজেকে মোটিভেট করতে বই হতে পারে আপনার হতাশার সময়ও সেরা সঙ্গী। অস্থির মনকে স্থির করতে, জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গাইড পেতে বই ভূমিকা রাখে।
৩) স্ট্রেস কমায়
স্ট্রেস নেই এমন মানুষ নেই। কর্মজীবন, দাম্পত্যজীবন, সামাজিক-জীবন, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ মানসিক চাপের মুখোমুখি হয়। এ সময় স্ট্রেস-রিলিফ ক্যাটাগরির কোনো বই পড়লে মন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মানসিকভাবে শক্তি মেলে এবং নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ নেবার সাহস তৈরি হয়।
৪) ক্রিটিক্যাল থিংকিং শেখায়
কীভাবে আপনার চিন্তাকে আরও কাঠামোবদ্ধ ও কার্যকর-ভাবে প্রয়োগ করবেন, বই তা শেখায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় উন্নতি আসে। চিন্তার ভেতরেই যে কি পরিমাণ অবারিত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, সেটা তখন বোঝা যায়।
৫) ক্রিয়েটিভিটি বাড়ায়
নিজের সুপ্ত-প্রতিভা খুঁজে পেতে বই উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বই আপনাকে শেখায় কীভাবে নতুন নতুন কাজ শুরু করা যায়। একবার শুরু করলেই পেয়ে যাবেন আপনার অজানা অনেক সুপ্ত-প্রতিভার খোঁজ।
৬ মস্তিষ্ককে উন্নত করে
গভীরভাবে চিন্তা করা, মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা, সিদ্ধান্ত-গ্রহণ—মস্তিষ্কের এরকম নানান কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় বই।
বিডি/এন