ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে ক্ষতি কার হয়
Published : ১৬:৫৪, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
কোনও ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে আমানতকারীদের কপাল পোড়ে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর কোনও কোনো আমানতকারী কিছু টাকা ফেরত পেলেও বেশিরভাগ গ্রাহককেই খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে। এ জন্য ব্যাংকে আমানত রাখার বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। টাকা রাখার আগেই ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে ব্যাংক বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে ব্যাংক যদি পরে দেউলিয়া হয়েই যায় তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে কিছু টাকা ফেরত পেতে পারেন আমানতকারীরা।
সাধারণত একটি ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হিসেবে বিবেচিত হয় যখন প্রতিষ্ঠানের সম্পদের চেয়ে দায় বেশী হয়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি তাঁর পাউনাদারদের টাকা ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। যখন পাওনাদাররা তাঁদের টাকা বুঝে পান না তখন তাঁরা আদালতের কাছে কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেন। আদালত এর সত্যতা এবং সমস্ত কিছু যাচাই করার পর যদি মনে করে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কোন ভাবেই পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয় তখন আদালতের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে সকল পাওনা পরিশোধিত হয়।
জানা গেছে, ভারত বিভক্তির পর দেউলিয়া হওয়া পাইওনিয়ার ব্যাংক এবং ক্যালকাটা মর্ডান ব্যাংকের লিকুইডেশনের সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি। তবে সর্বশেষ ২০০৬ সালে দেউলিয়া হয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। মালিকপক্ষের লুটপাটের কারণে অতিরুগ্ন হয়ে পড়লে ওই বছরের ১৯ জুন ব্যাংকটির দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে মালিকপক্ষের ৮৬ শতাংশ শেয়ারের বড় অংশ কিনে নেয় আইসিবি গ্রুপ। তারপর ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে করা হয় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কিন্তু গ্রাহকরা এখনও টাকা ফেরত পাননি। ১৯৯২ সালে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিসিসিআই) বিলুপ্ত হয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক গড়ে উঠেছিল। যদিও বিসিসিআই’র বিভিন্ন দেশের গ্রাহকরা এখনও টাকা ফেরত পাননি।
বিডি/এন