জাফরুল্লাহ শুধু রাষ্ট্র বিপ্লবী নয়, সমাজ বিপ্লবীও: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

জাফরুল্লাহ শুধু রাষ্ট্র বিপ্লবী নয়, সমাজ বিপ্লবীও: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

গবি প্রতিনিধি:

Published : ২২:৪১, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু রাষ্ট্র বিপ্লবী নয় তিনি একজন সমাজ বিপ্লবীও। তার কাজ ও আদর্শকে আমাদের বোঝা উচিৎ। তার মৃত্যু সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার কাজ আমরা যখন পরিপূর্ণ করতে পারবো, সমাজকে পরিবর্তন করতে পারবো তখন মনে করবো তিনি আমাদের সাথেই আছেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪১৭নং কক্ষে 'ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়- তোমারি হউক জয়' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক এবং বহুমুখী প্রতিভার মানুষ। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন সমাজে বৈচিত্র থাকবে কিন্তু বৈষম্য থাকবে না।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা সম্পাদিত 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্মদিনে স্মরণিকা-২০২৪' এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অফিসার এনামুল হক এবং বাংলা বিভাগের সহকারী প্রভাষক এম.এস আয়শা সিদ্দিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। 

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, 'জাফর ভাইয়ের সাথে অনেক বছর কাটিয়েছি, অনেককিছু শিখেছি। অনেক চমক উনি দেখিয়েছেন। আজ তার জন্মদিন উদযাপন করছি, কিন্তু সে আমাদের মাঝে নাই। তবে তার জন্মটা যে শুভ ছিল তাতে কোনো দ্বিধা নেই।

একবার যা যৌক্তিক মনে করতেন তা থেকে তাকে কেউ সরাতে পারতো না। এই সময়কালে দেশের মানুষের জন্য উনার মনের মধ্যে যে আকাঙ্খা, তা আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। তিনি বলতেন, গরীবদেরকে যদি সচেতন না করতে পারি তাহলে আমাদের মতো মুষ্ঠিমেয় মানুষকে দিয়ে পরিবর্তন আসবে না।'

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন আমি তা অনুধাবন করতে পারি। আমি চেষ্টা করবো তার উদ্দেশ্যকে তার দেখানো পথেই পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই গবিতে চতুর্থ সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সার্বিক বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।'

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরিন হক, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হারেস, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সন্তান বারীশ চৌধুরী এবং বৃষ্টি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement