নতুন কর্মসূচি দিয়ে সায়েন্সল্যাব ছাড়লো শিক্ষার্থীরা

নতুন কর্মসূচি দিয়ে সায়েন্সল্যাব ছাড়লো শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ২৩:৪৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বাস ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে চার ঘণ্টা পর সায়েন্সল্যাব মোড় ছেড়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২০ মিনিটে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ফোকাল পারসন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফার বিষয়ে আপডেট জানতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মামুন আহমেদ শিক্ষার্থীদের অপমান করে বের করে দেন। এমন আচরণের পর রাস্তা অবরোধ করলেও তিনি ক্ষমা চাইতে আসেননি। আমরা এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি, যদি তিনি আমাদের কাছে ক্ষমা না চান তাহলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে তার বাসভবন ঘেরাও করব।

এর আগে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ সংলগ্ন মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। কিছুক্ষণ পর তারা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক আটকে থাকার পর অনেকেই পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার রাজীব গাইন বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় আটকে রেখেছে। আরেকটি অংশ অবস্থান নিয়েছে শাহবাগ মোড়ে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির কাছে গেলে তারা আমাদের অপমান করে বের করে দেয়। এখন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ সবগুলো দাবি রাতের মধ্যে মেনে নিতে হবে। না মানলে অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

নয়ন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা বলেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে আগের নিয়মে ভর্তি না করে নতুনভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতার ওপর ভর্তি করানো হোক। কিন্তু ঢাবি আগের নিয়মেই ভর্তি করাচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারি আমরা একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। সেটির আপডেট জানতে গেলে ঢাবির প্রো-ভিসি মামুন আহমেদ আমাদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। এই আচরণের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

পাঁচ দফা দাবি

১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। ২. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।

৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।

৪. নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।

৫. সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement