বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‌‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। বন্যা মোকাবিলায় যেভাবে দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে তাতে আমি অভিভূত।’

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ৪৪টি এনজিও প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সমন্বিতভাবে কাজ করতে দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
 
প্রেস সচিব জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে জেলাগুলো ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত। ১১ জেলায় পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। দিশেহারা এসব বন্যার্তদের সহায়তায় ঝাপিয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে সব শ্রেণি পেশার বাংলাদেশিরা। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের এ অভিপ্রায় দেখে অভিভূত প্রধান উপদেষ্টা।

প্রেস সচিব জানান, ৪৪টি এনজিও প্রতিনিধির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের পর দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ডিজেল পাঠিয়ে মোবাইল টাওয়ার চালু রাখার ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
 
বৈঠক শেষে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কীভাবে সংকট মোকাবিলায় করা যায় বা একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ব্রাকের নির্বাহী পরিচালক।
 
জোনভিত্তিক ভাগ করে ত্রাণ কার্যক্রম বন্যা কবলিত সবার দরজায় পৌঁছানোর বিষয়েও বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।