নিষেধাজ্ঞা অমান্য, রাজধানীতে ব্যাপক আতশবাজি
Published : ০১:৫৬, ১ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্যাপক আতশবাজি ফুটানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সমগ্ৰ নগরী।
আতশবাজির ছটায় রঙ্গিন হয়ে উঠে রাতের আকাশ। নববর্ষের শুরুতে আতশবাজির পাশাপাশি, ফানুস উড়ানো ও উচ্চস্বরে গান বাজানো ও প্রায় বাড়ির ছাদে রাতভর চলেছে ডিজে পার্টির উন্মাদনা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও রোগীরা।
ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি, সব বার বন্ধ রাখা এবং হোটেলগুলোর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্ত জারি করা হয়। তবুও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আইন অমান্য করে উদযাপন চালিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন পার্টি। পুরান ঢাকার অধিকাংশ পার্টিতে মাদকের আসর এবং অশ্লীল নৃত্যে বুধ হয় তরুণ-তরুণীরা।
রাজধানীর মগবাজারের অমিত হাসান নামের এক যুবক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ এদেশের কোনো সংস্কৃতির অংশ না হলেও প্রতিবছর উশৃঙ্খল তরুণ যুবারা মেতে উঠেন আতশবাজি ও ডিজে পার্টির নামে অশ্লীল নৃত্য এবং মাদকের আসরে। এদের উচ্চ শব্দের আতশবাজি এবং গানের কারণে ছোট শিশুরা প্রায়ই ভয় পেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। তাছাড়া বেশি বিপাকে পড়ে রোগীরা ।
সিহান খান নামে বসুন্ধরার একজন বাসিন্দা বলেন, আতশবাজির উচ্চ শব্দের কারণে হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া মানুষের শ্রবণ শক্তিকে কমিয়ে দেয় এসব শব্দ। তাই এসব বিষয়ে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কঠোরভাবে আতশবাজি নিয়ন্ত্রণ করার দাবিও জানান তিনি।
এছাড়াও বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও উদযাপনে বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া, এ বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব কাজে বাধা দেওয়ার কথা থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
কয়েকজন কিশোর বলেন, বছরে তো একবারই নববর্ষ আসে। উদযাপন না করলে খারাপ লাগে। এটা পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। যেকোনো উৎসব আমরা বড় করে পালন করি।
এসময় স্থানীয়রা বলেন, পুরান ঢাকার উৎসবের এই আয়োজন দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের অংশ হলেও আইন অমান্যের বিষয়টি স্পষ্ট চোখে পড়ে। জনসাধারণের আনন্দ উদযাপনের অধিকার ও আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কথাও বলেন তারা।
ঐতিহ্য ও নিরাপত্তার সন্নিবেশে উদযাপনকে নিয়মের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিডি/এন