হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
Published : ১৯:৪৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মুজিবর রহমান মিয়া।
বিচার বহির্ভূত হত্যা, খুন, গুম প্রতিরোধে বিএইচআরএফের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশে কঠোর আইন থাকলেও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমছে না। সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে রিট করার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, যেখানে খুন হয়, মিথ্যা মামলা হয়, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়— সে দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার এক নয়। ভোটাধিকার সাংবিধানিক অধিকার। বিগত সরকার গণতন্ত্রের নামে খেলা করেছে। এখন ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক করার জন্য লড়াই চলছে।
অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কে আরো ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন দেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তাদের পাশে আমাদের থাকতে হবে। প্রতিটি মানুষকে নিজ অধিকার ও অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভার সভাপতি বিএইচআরএফ- এর প্রধান উপদেষ্টা সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সততা না থাকলে সব ক্ষেত্রে হতাশা ছড়িয়ে পড়বে।
সংগঠনের মহাসচিব এ এম জিয়া হাবীব বলেন, ভবিষ্যতে যারা মানবাধিকার কর্মকাণ্ডে অবদান রাখবে তাদের বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তিনি স্লাইড শোর মাধ্যমে সবার সামনে বাংলাদেশ ও বিশ্বে আলোচিত ঘটনাগুলির ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএইচআরএফ চেয়ারপারসন এডভোকেট এলিনা খান। সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ওসমান গনি মনসুর। অনুষ্ঠানে উত্তরা শাখাকে সংগঠনের শ্রেষ্ঠ শাখা নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়া আইন পেশায় ৫১ বছর পূর্তিতে এডভোকেট এ.কে.এম মোহসেন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বিএইচআরএফের বিভিন্ন কার্যক্রমে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন তাদের যথাক্রমে সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার, এএইচএম জসিম উদ্দিন, আবুল খায়ের, জান্নাতুল নাইম রুমানা, পরেশ চন্দ্র দাস, মোঃ সাইফুদ্দিন খালেদ, মোঃ হাসান আলী, রুমানা ইয়াসমিন সোমা, গোলাম মাওলা মুরাদ, এইচ এস সোহরাওয়ার্দী, মোহাম্মদ বদরুল হাসান, খুশনুদ রাইসা উশিকা, কে.এম. শান্তনু চৌধুরী, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আরমান, টুম্পা আইচ, মোবারেক আহমেদ, হাসান আল বান্না, আংশু আসিফ পিয়াল, আবুল মোবারক, ফাতিমা জাহরা আহসান রাইসা, আহসান হাবিব বাবু, মো. আশরাফুল হক জীবন, মাহমুদুর রহমান শাওন, নজরুল হোসেন শুকরিয়া, এরশাদ আলম ও মোঃ রাজীব হোসেন রিফাতকে সম্মাননা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সভাপতি সাংবাদিক এ কে এম মকসুদ আহমেদ, পুলিশ কমিশনার জিএম মাজহারুল ইসলাম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভিসি নাজিম উদ্দিন, ডা. শফিউল আলম, বিজেএমইর মাহবুবুর রহমান, ডিজি রেজাউল করিম, সুলতানা আক্তার রুমি, বিভাগীয় পরিচালক (সমাজকল্যাণ) কাজী নজিবুর রহমান ও সাংবাদিক শাহ নেওয়াজ। এছাড়া সুশীল সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
এনই