ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ সমর্থকদের থানা ঘেরাও, পুলিশের লাঠিচার্জ

ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ সমর্থকদের থানা ঘেরাও, পুলিশের লাঠিচার্জ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

Published : ১৭:৪৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে তার সমর্থকরা। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের লাঠিচার্জ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এছাড়া পুলিশ ৪ ব্যক্তিকে আটক করে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওসি মুহাম্মদ আরশেদুল হক।

গ্রেপ্তারকৃত মতিউর রহমান মতি (৪৫) ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তিনি ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আরশেদুল হক বলেন, মারপিট, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ আলী।

এ মামলায় হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিকে প্রধান আসামী করা হয়। এছাড়াও মামলায় আরও দুইজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামী করা হয়।

ওসি বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর বুধবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। এদিকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষৃদ্ধ হয়ে উঠে ইউনিয়নবাসী।তারা বুধবার দুপুরে রানীশংকৈল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে তাকে নিশর্ত মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান ঘটনাস্থলে এসে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এতে কাজ না হলে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে বৃদ্ধ ও নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ৪ ব্যক্তিকে আটক করে।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, থানা ঘেরাও করার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে লোকজনদের বোঝানোর চেষ্টা করি। খালি গলায় ও হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রায় আধা ঘন্টা যাবৎ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

ওসি আরশেদুল হক বলেন, মৃদু লাঠিচার্জ করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গ্রেপ্তারকৃত মতিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement