খুলে দেওয়া হলো তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট

খুলে দেওয়া হলো তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট

রংপুর প্রতিনিধি:

Published : ১৪:৩০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা ৩ দিন রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু রংপুরেই ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারী বর্ষণের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

অপরদিকে দুধকুমার নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। এ নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায়  লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৮৩ সেন্টিমিটার, যা (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার .৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

টানা বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তাসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 

এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ২ দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী একদিন পর্যন্ত নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আগামী ২ দিন পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্ক-সীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এসব জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

অপরদিকে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। 

শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮.৭৫ সেন্টিমিটার, যা (স্বাভাবিক ২৯.৩১ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার .৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দিন সকাল ৬টায় বিপৎসীমার .৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খোলা রাখা হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement