যে-কারণে হিলিতে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকেরা
Published : ১৩:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি আমন মৌসুমে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে এই বছর আমন ধানের দাম প্রতিমণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। তাই তারা বাজারেই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। এদিকে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার প্রতিমণ ধানের যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তার চেয়ে বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না।
উপজেলার খট্রা গ্রামের কৃষক মো. মহিবুর রহমান বলেন, আমি এবার নিজের ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। সরকার এবার প্রতিকেজি আমন ধানের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৩ টাকা। এতে প্রতিমণ ধানের দাম পড়ে ১ হাজার ৩২০ টাকা। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। তাই বাজারেই ধান বিক্রি করছি।
আরেক কৃষক বোয়ালদাড় গ্রামের মো. মুন্না বলেন, আমি নিজের ২ বিঘা জামির পাশাপাশি আরও ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে এবার আমন ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে, তার তুলনায় বাজারে ধানের দাম প্রতিমণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। তাই সরকারি খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করেছি।
মুন্না আরও বলেন, এছাড়া সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। আর্দ্রতা মেপে দিতে হয়। পরিবহন খরচ, লেবার খরচ। আর মহাজনরা দরদাম ঠিক হলে বাড়ি থেকেই ধান নিয়ে যান।
হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাজেবুল ইসলাম বলেন, গেলো ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে আমন ধান ক্রয় শুরু করে সরকার। প্রতিকেজি ধানের মূল্য নির্ধারন করে দেয় ৩৩ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৩২০ টাকা মণ। কিন্তু বাজারে সরকারি দামের চেয়ে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
সাজেবুল ইসলাম আরও বলেন, আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত হিলি সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি মৌসুমে আমন ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।
এনই