চানখারপুল হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল

Published : ২২:৫২, ২১ এপ্রিল ২০২৫
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাস হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখারপুলে হত্যাযজ্ঞের তদন্ত শেষ হয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা ৮ জন।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৯০ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়কাল ছিল ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট।
আসামিরা হলেন-ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন, কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
তদন্তে উঠে এসেছে, পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন অথবা তা তত্ত্বাবধান করেছেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন।
এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রসিকিউটর আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ।
বিডি/ও