স্থিতিশীল সবজির বাজার, চাল-মুরগিতে অস্বস্তি 

শীতকালীন শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এখন অনেকটাই স্থিতিশীল সবজির বাজার। এছাড়া ডিম-মাছ-মাংসের বাজারেও নতুন করে দাম বাড়েনি।

এরপরও সাপ্তাহিক বাজার উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারছে না ক্রেতা সাধারণের কাছে; চড়া দামে কিনতে হচ্ছে চাল আর মুরগি। আসন্ন রমজানে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ পড়ছে অনেকের।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মধ্যবিত্তের চালখ্যাত সরু বা মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮২ টাকায়। গরিবের মোটা বা গুটি স্বর্ণা জাতের চালও কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়।

এছাড়া নাজিরশাইল জাতের চালের খুচরামূল্য মানভেদে ৮৫-৯০ টাকা। মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পায়জাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকায়। মোটাদাগে বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো চালই।

এদিকে চালের মতো কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়।

কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দামও। এ জাতের মুরগির কিনতে হলে এখন কেজিপ্রতি খরচ পড়ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা; যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল।

তবে স্বস্তির খবর, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বড় বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। পাড়া মহল্লার দোকানে তা মিলছে ১৪০-১৪৫ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে গত কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দাম এখন ২০-২৫ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। 

এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন ৪০-৫০, শিম ৩০-৫০, কাঁচা পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, করল্লা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে।

প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি মানভেদে ১৫-২০ টাকা এবং লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়।

মুদি বাজারেও দামের তেমন হেরফের দেখা যাচ্ছে না। প্রতিকেজি আমদানি করা মসুর ডাল ১০৫-১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০-১৩৫ থেকে টাকা, মুগডাল ১৬৫-১৭০ ও ছোলার কেজি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। আমনের ভরা মৌসুমের পাশাপাশি শুল্ক কমানো ও আমদানিসহ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও কোনো কাজে আসছে না। মানভেদে বিভিন্ন ধরনের চালের কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে।