সিস্টেম লসের নামে গ্যাস চুরি হচ্ছে

সিস্টেম লসের নামে গ্যাস চুরি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১৮:১৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিস্টেম লসের নামে ১ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস চুরি হচ্ছে জানিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেছেন, সিস্টেম লস (বর্তমান লস ৯.৮২) যদি অর্ধেক কমানো যায়, তাহলে বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। সুযোগ রয়েছে আমদানি সাশ্রয় করার।

বুধবার (৪ আগস্ট) তিনি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) কনফারেন্স সেন্টারে এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন আইবিএফবি ও এনার্জি এন্ড পাওয়ারের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাত সংস্কারের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।

আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার এডিটর মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ বলেন, এলএনজি আমদানি সমর্থন করি, তবে এটা সীমিত রাখতে হবে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার বিকল্প নেই। আমরা যদি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জ্বালানি সরবরাহ দিতে চাই তাহলে এ খাতে আমদানি ব্যয় দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারে। যা আমাদের অর্থনীতির জন্য খুবই জটিল। আমাদের দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আমরা যদি বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট ধরে রাখতে চাই তাহলে বছরে কমপক্ষে ১০ অনুসন্ধান কূপ খনন করতে হবে। আমরা এক সময় ২৮০০ মিলিয়ন উৎপাদন করতাম, আমাদের অনুসন্ধান কার‌্যক্রমের অভাবে কমে গেছে। পৃথিবীর কোন দেশে উৎপাদন কমে যাওয়ার নজীর দেখাতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে গ্যাস ২০ শতাংশ আমদানি করে ২০ টাকার মতো খরচ দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ সালে আমদানি ৫০ শতাংশ হলে মূল্য (ঘনমিটার) দাঁড়াবে ৩৮ টাকা। আর যদি আমদানি ৮০ শতাংশ করতে হয় তাহলে ৫৫ টাকার মতো দাম পড়বে। অতএব অনুসন্ধানের বিকল্প নেই। ২০৩০ সালে কয়লা আমদানি করতে হবে ১৫ মিলিয়ন টন। দেশীয় কয়লার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসা দরকার। শিল্পে গ্যাসের পাশাপাশি অন্যান্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement