জিডিপি ও জিএনপি এর মধ্যে পার্থক্য

জিডিপি ও জিএনপি এর মধ্যে পার্থক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১৬:৪৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

জিডিপি

এটি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিমাণকে বোঝায়। এই কর্মকাণ্ড সেই দেশের নাগরিক অথবা বিদেশি যে কেউ সম্পাদন করতে পারে। যতক্ষণ এই কর্মকাণ্ড দেশের অভ্যন্তরে হচ্ছে ততক্ষণ সেটা জিডিপিতে যোগ হবে।

জাপানিজ মিৎসুবিশি বা মালয়েশিয়ার নামকরা প্রোটন কোম্পানি এসে যদি চট্টগ্রামে জমি লিজ নিয়ে কারখানা বসায়, তবে সেই খরচও বাংলাদেশের জিডিপিতে যোগ হবে। তাদের কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও বাংলাদেশের জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদের উপার্জিত অর্থ যদি বাংলাদেশেই তারা খরচ বা পুনরায় বিনিয়োগ করে, সেটাও বাংলাদেশের জিডিপিতে যোগ হবে।

অন্যদিকে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি যদি দেশে টাকা পাঠান তবে সেটা জিডিপিতে যোগ হবে না। কারণ সেটা দেশের বাইরে অর্জিত হয়েছে। তবে তার পাঠানো টাকা দেশে তার স্বজনেরা যখন খরচ বা বিনিয়োগ করেন- সেটা জিডিপিতে যুক্ত হয়।

জিএনপি

দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে জিএনপি’তে (গ্রস ন্যাশনাল প্রোডাক্ট) হিসাব করা হয়। পৃথিবীর কোন দেশে বসে তিনি এটা করছেন সেটা বিবেচ্য নয়। মিৎসুবিশি বা প্রোটন কোম্পানির বাংলাদেশে অর্জিত অর্থ, বাংলাদেশের জিএনপি থেকে বাদ যাবে। এটা সংশ্লিষ্ট দেশের জিএনপিতে যোগ হবে।

একইভাবে একজন প্রবাসী বাংলাদেশির পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের জিএনপিকে সমৃদ্ধ করবে। এভাবে ওয়ালটন, প্রাণ বা ইনসেপটার বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও বাংলাদেশের জিএনপিকে বড় করবে।

জিডিপি এবং জিএনপির সম্পর্ক নিচের সূত্র দিয়ে বুঝতে কিছুটা সুবিধা হবে- জিডিপি = দেশের অভ্যন্তরে ভোগ করা পণ্যের মূল্য + সর্বমোট বিনিয়োগ + সরকারের যাবতীয় খরচ + (রপ্তানি - আমদানি)। জিএনপি = জিডিপি + (বিদেশে নিজ দেশের নাগরিক/সংস্থা কর্তৃক সম্পাদিত অর্থনৈতিক কর্মের মূল্য - নিজ দেশে বিদেশি নাগরিক/সংস্থা কর্তৃক সম্পাদিত অর্থনৈতিক কর্মের মূল্য)।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement