কর আহরণ না বাড়ালে দেশ বিপদে পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা
Published : ১৭:৩০, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
কর আহরণ না বাড়ালে দেশ বিপদে পড়বে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, প্রোটেকশনের দিন কিন্তু চলে গেছে। সব কিছু মাথায় রেখেই সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা ট্যাক্স দিবেন।
ভ্যাট দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যখন কথা বলি, তারা বলে, তোমাদের এতো লোক কিন্তু ভ্যাট এতো কম, অব্যাহতি দিচ্ছ। আরেকটা জিনিস, ব্যবসায়ীরা আছেন, ব্যবসা করার জন্য। আমারে একটু অব্যাহতি দেন। আর আর্গুমেন্ট তো আছেই। শিশুকে লালনপালন করা।’
বিভিন্ন খাতে কর কমিয়ে ও প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করার বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, আমরা পঞ্চাশ বছর ধরে বহু শিশুকে লালন করেছি, ট্যাক্স অব্যাহতি দিয়ে, ইনিসেনটিভ দিয়ে। আর কতকাল শিশুকে লালন করব?
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি উদাহরণ দিলাম না, আপনারা অনেকেই বুঝতে পারেন যে যেসব শিশু এখনও শিশুই রয়ে গেছে। শারীরিক দিক থেকে বড় হয়ে গেছে, কিন্তু তারা নিজেদেরকে বলে এখনও প্রোটেকশন দিতে। এই প্রোটেকশনের দিন কিন্তু চলে গেছে।
২০২৬ সালে এসে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ হওয়ার জন্য এসব থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
কর্মকর্তাদের করদাতাদের প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা, তারাও একটু একটু ফ্রেন্ডলি হবেন। মানে জোর করে একেবারে আদায় করে নিয়ে আসবেন না। যদি অসুবিধে হয় শুনবেন, তাদের যথাসম্ভব কমপ্লায়েন্স করে তাদেরকে একটু সহায়তা করা।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই হলো ট্যাক্স রেভিনিউ কিভাবে বাড়াব। নানা কারণেই শুল্ক বাড়ানো যাবে না। আমাদের মূল সোর্স হচ্ছে ভিএটি এবং আয়কর।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা হচ্ছে এক্ষেত্রে কালেক্টিং এজেন্ট। ভ্যাট আদায় করা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি দেখছি।
আমি আবারও বলছি- ব্যবসায়ীরা ভ্যাট পেয়ার না, ভ্যাট দেবেন ক্রেতারা। তারা কেবল সরকারের পক্ষে ভ্যাট কালেক্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে অনেক কাজের সুযোগ আছে।
আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও একই কথা বলেন, আমাদের ভ্যাট আদায় বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। আমাদের রেজিস্টার্ড ভিএটি পেয়ার ৪-৫ গুণ বাড়ানোর সুযোগ রিয়েছে। এখন ৫ লাখের বেশি আছে, এটি ২০-২৫ লাখ করা সম্ভব।
বিডি/ও