রপ্তানিমুখী শিল্প: সংকটে ২০২৪ পার, গতি ফেরার আশা নতুন বছরে

রপ্তানিমুখী শিল্প: সংকটে ২০২৪ পার, গতি ফেরার আশা নতুন বছরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ০০:৫৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

রপ্তানিমুখী শিল্পে দুই সরকারের অধিনে স্মরণীয় এক বছর, ২০২৪। আওয়ামী লীগের আমলে রপ্তানি আয়ে ভুল তথ্যে ৯ বিলিয়ন ডলারের কারসাজির মতো বড় ঘটনা ঘটেছে। আর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নজিরবিহীন শ্রম অসন্তোষ ও কারখানার নিরাপত্তাহীনতা।

গাজীপুরের সিমটেক্স অ্যাপারেল অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেড আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বছরজুড়ে সক্ষমতার ৮৫ শতাংশ উৎপাদন ধরে রাখে রাইজিং গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠান। যাতে বড় ভূমিকা ছিল স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির।

রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান জানান, ২০২৪ এ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শ্রম অসন্তোষ ও কারখানার নিরাপত্তা ইস্যু। যে কারণে হাতছাড়া হয়েছে ক্রয়াদেশ। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনায় ভুগতে হয়েছে নগদ লেনদেনে ভারসাম্যহীনতায়।

বছরের শুরু থেকেই তীব্র গ্যাস সংকট ভোগায় পুরো রপ্তানিখাত। এছাড়া সময়ের সাথে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে থাকে ব্যাংকঋণের চড়া সুদহার। এরপর আওয়ামী লীগের পতনের পর এসব সঙ্কটের সাথে যোগ দেয় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শ্রম অসন্তোষ। যা থামাতে বেতন-ভাতা সমন্বয় এবং দাবি-দাওয়া পূরণে আসে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত। আর এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বন্ধ হয় কিছু কারখানা। কেউ কেউ হারান প্রতিযোগিতার সক্ষমতা। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই সামনে আসে রপ্তানি আয়ে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের ভুল তথ্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চব্বিশে সংকট যেমন গভীর হয়েছে, তেমনি উন্মুক্ত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার ও টেকসই নীতি পদক্ষেপ আগামী দিনের রপ্তানি আয়ে গতি আনবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সমগ্রিক অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তা মূল্যস্ফীতির চাপ এবং ব্যবসার পরিবেশসহ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। যে শিল্পের ওপর রপ্তানি আয়ের একক নির্ভরতা, সে শিল্পকেই বছরজুড়ে বহুমাত্রিক চাপ সামলাতে হয়েছে। এই চাপের মাঝেও যারা শত বিলিয়ন ডলারের গল্প শুনিয়ে এসেছেন, তারা পালিয়েছেন চব্বিশেই। তাই নতুন সময়ে নতুনদের হাত ধরে সমৃদ্ধির প্রত্যাশা সবার।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement