১৫ বছর পর বাংলাদেশ বেতারে মনির খান, গাইলেন বৈষম্যবিরোধী গান

১৫ বছর পর বাংলাদেশ বেতারে মনির খান, গাইলেন বৈষম্যবিরোধী গান

বিনোদন ডেস্ক

Published : ১৪:০৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি মতাদর্শধারী সাংস্কৃতিক তারকারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাদেরকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুষ্ঠানে অঘোষিত নিষিদ্ধ করা হয়। সংগীতশিল্পীরাও এর মধ্যে ছিলেন।

ভালো ভালো গানের কথা ও সুর এবং মানসম্মত গান তৈরির পরও তাদের সুযোগ হয়নি জানিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিভিন্নভাবে কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছিল।

তবে গত ৫ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ায় দেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ফিরেছে স্বচ্ছতা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব শিল্পীই এখন কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মনির খান বাংলাদেশ বেতারের গানে কণ্ঠ দিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামালে বাংলাদেশ টেলিভিশন কিংবা বেতারে গানের সুযোগ না পেলেও, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর ইতোমধ্যে চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মনির খান।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী ।

বাংলাদেশ বেতারের চারটি গানে কণ্ঠ দিলেও এর মধ্যে একটি গান প্রকাশ হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেননা, গানটি ‘বৈষম্যবিরোধী’। ‘এক মহাক্যাব্য লেখা হলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে / বাংলাদেশ নতুন করে পেয়েছি তোমায় ভালোবাসার ঐকতানে’, এমন কথায় গানটি লিখেছেন গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ। আর এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মকসুদ জামিল মিন্টু।

এদিকে ‘বৈষম্যবিরোধী’ গানটি স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর নাহিদ ইসলামের এটিই প্রথমবারের মতো বেতার পরিদর্শন ছিল।

 ‘বৈষম্যবিরোধী’ গানটি সম্পর্কে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী গায়ক মনির খান বলেন, গত সোমবার বেতারের স্টুডিওতে গানটি রেকর্ড করা হয়েছে। গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ, তিনি তো বরাবরই ভালো লেখেন। তার লেখনি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আবার মকসুদ জামিল মিন্টু ভাইয়ের সুরের কথা কী বলব, অসাধারণ। সব মিলে অনেক সুন্দর একটি গান করেছি আমরা।

‘আট আনার জীবন’ খ্যাত সংগীত তারকা বলেন, গানটি রেকর্ডিংয়ের জন্য কিছুটা কম সময় পেয়েছি আমরা। তবে যথেষ্ট ছিল। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গানটি ভীষণ ভীষণ ভালো হয়েছে। এর থেকেও বড় বিষয় হচ্ছে, ‘বৈষম্যবিরোধী’ গান করার সময় স্টুডিওতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, তথা আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের মতো তার কাছেও পছন্দ হয়েছে গানটি।

সবশেষ আওয়ামী সরকারের শাসনামের কথা উল্লেখ করে কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া তারকা বলেন, একজন সাধারণ মানুষ বলেন আর সংগীতশিল্পী বলেন, একটা কথাই বলব―কখনো কোনো শিল্পীকে যেন কোনোভাবে তার সৃজনশীল কাজে বাধা প্রদান করা না হয়। শিল্পীদের সঙ্গে যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না হয়।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement