শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, জনজীবন বিপর্যস্ত
Published : ১১:১১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৯-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। এতে করে রাত ও সকালে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।
কয়েকদিন পরপরই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। বিশেষ করে হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও কনকনে শীতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়।
এর আগের দিন গতকাল সকালে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আজকের তাপমাত্রা অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকালে হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে পূবালী সূর্য। সে আলোয় ছড়াচ্ছে সকালের মিষ্টি রোদ। এতে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের মাঝে ফিরেছে কর্ম চাঞ্চল্যের স্বস্তি। সকালেই কাজে যেতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
বুধবার সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ৯.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সামনের দিন যত যাবে, তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।
এদিকে তীব্র শীতল আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিডি/ও