ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন পুনরাবৃত্তি হয় না?

ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন পুনরাবৃত্তি হয় না?

ফিচার ডেস্ক:

Published : ১৬:০৭, ৩১ আগস্ট ২০২৪

ভারত ও পাকিস্তান উপকূলে ধেয়ে আসছে বিরল একটি ঘূর্ণিঝড়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘আসনা’। আগামী এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

এবারের ঘূর্ণিঝড়ের এ নামটি পাকিস্তানের দেওয়া। এর অর্থ সর্বোচ্চ, উজ্জ্বলতম ও প্রশংসনীয়। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণও বেশ আকর্ষণীয়। তবে এর নামকরণ নিয়ে চলছে নানান তর্ক-বিতর্ক। 

জানেন কি ঝড়ের নাম কারা দেয়, কীভাবে ঝড়ের নামকরণ করা হয়? ঝড়ের নামকরণের আগে দেখা হয়, তা যেন আপত্তিকর ও বিতর্কিত না হয়। উচ্চারণ করা সহজ ও মনে রাখা সহজ হওয়া উচিত।

প্রথমে ঝড়ের নামকরণের কোনো নিয়ম ছিল না। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা একটি আদর্শ পদ্ধতি তৈরি করেন। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়, যাতে মানুষ ঝড়ের কথা মনে রাখতে ও শনাক্ত করতে পারেন। নাম দিয়ে সচেতনতা তৈরি ও সতর্কতা প্রেরণ করা সহজ হয়। 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা যেমন- বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়।

ভারতের আইএমডি ৬টি আবহাওয়া কেন্দ্রের মধ্যে একটি, যা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। এই আবহাওয়া কেন্দ্রগুলো কেবল ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। তবে নামগুলো এমনভাবে নেওয়া হয় যাতে কারও অনুভূতিতে আঘাত না হয় এবং এই নামগুলোর পুনরাবৃত্তি হয় না।

২০০৪ সালে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য ঝড়ের নামকরণের জন্য একটি সূত্রে ঐকমত্য পৌঁছেছিল। এ অঞ্চলে যে ৮টি দেশ পড়ে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। 

ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলো ২০০০ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের অনুশীলন শুরু করে। ভারত ছাড়াও এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। দেশগুলো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা সামনে রেখেছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের জন্য রাষ্ট্র সংঘের ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের অনুশীলন ১৯৫৩ সালে শুরু হয়েছিল। একই সময়ে এটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তা ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল। 

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।

পরে ২০১৯ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন যুক্ত হয়। যখন একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তখন এই ১৩টি দেশ তাদের ক্রম অনুসারে নাম নির্ধারণ করে। সোমালিয়ায় যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, তার নামকরণ করেছিল ভারত, এর নাম হয় গতি।

২০২৩ সালের ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। এবার ২০২৪-এর শুরুতে ‘রিমালের’ নামকরণ করেছে ওমান। বর্তমানে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে তার নামকরণ করেছে পাকিস্তান।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement