‘জেন-জি’রা কর্মক্ষেত্রে যেমন
Published : ১৪:২৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পুরোনো সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশের সঙ্গে বদলেছে মানুষের জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি। এর মধ্য দিয়ে প্রগতিশীলতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ঐতিহ্যের ভিত্তি প্রস্তরে।
এ ধারাকে অব্যাহত রাখার এক নিদর্শন “জেনারেশন জেড” বা “জেন-জি”। ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০১০ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের বলা হয় জেন-জি।
জেন-জিরা তাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুবই উৎফুল্ল থাকে। অন্যান্য জেনারেশনের সদস্যদের তাদের সঙ্গে কাজ করতে অনেক বেগ পেতে হয়। তাদের দক্ষতা ও কাজ করার প্রক্রিয়া অন্যান্যদের তুলনায় আলাদা।
তারা সাধারণত কোনো নিয়ম মেনে চলতে আগ্রহী নয়। তারা সবার সঙ্গে একই রকম আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে চায়। পাশাপাশি অফিসের ড্রেসকোড মানতেও আগ্রহী নন তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জির মূল বৈশিষ্ট্য হলো তারা কর্মদক্ষতার চেয়ে বুদ্ধিমত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তারা কোনো ধরনের সমালোচনাকে ভয় করে না। তারা সবসময় বাস্তবসম্মত শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়।
পূর্ববর্তী প্রজন্ম যেখানে ৫-১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদি অধ্যয়নে অভ্যস্ত ছিল, সেখানে এই প্রজন্ম সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদি স্নাতকে সীমাবদ্ধ থাকে।
জেন-জিদের সাধারণত নিজস্ব কাজের ধরন থাকে। তারা তাদের মতো করে কাজ করতে পছন্দ করে।
কর্মক্ষেত্রেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্নতা। কেউ কেউ সামনাসামনি মিটিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কেউ আবার অনলাইন প্লাটফর্মে মিটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বিডি/ও