মেফ্লাইয়ের আয়ুষ্কাল মাত্র ৫ মিনিট

মেফ্লাইয়ের আয়ুষ্কাল মাত্র ৫ মিনিট

ফিচার ডেস্ক:

Published : ১৫:০৭, ১৭ জুলাই ২০২৪

পৃথিবিতে এমন কিছু প্রাণী আছে, যেগুলোর আয়ুষ্কাল মাত্র ৫ মিনিট। খুব বেশি হলে বাঁচতে পারে বড়জোর ২৪ ঘণ্টা। ৫ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা আয়ু নিয়ে জন্মানো প্রাণীটি হচ্ছে মেফ্লাই। বিজ্ঞানীদের দাবি, সবচেয়ে কম আয়ুর প্রাণী এটি। 

দেখা গেছে, ১ দিনের আয়ুষ্কালের মধ্যেই প্রাণিটি বংশবৃদ্ধির জন্য ১০ হাজার ডিমও পেড়েছে। যা কার্যত প্রাণি বিজ্ঞানীদেরও হতবাক করে দিয়েছে। এই প্রাণিটির আবার ৩ হাজারের মত প্রকার রয়েছে। সাধারণত জলেই এদের জীবনটা কাটে। সেখানেই সব কিছু।

এক ধরনের জলের পোকা। তবে ডানাযুক্ত। এদের স্বচ্ছ অনেকটা ফড়িংয়ের মত ডানা থাকে। এই প্রাণি তাদের এই অতি ছোট্ট আয়ুষ্কালেও কিন্তু পৃথিবীর উপকারই করে।

মেফ্লাইয়ের পরেই তালিকায় নাম আসবে গ্যাসট্রোট্রিচের। এটি এক জাতীয় মাইক্রোস্কোপিক সামুদ্রিক প্রাণী যা বাঁচে মাত্র কয়েকদিন। এরপরই নাম আসবে ড্রোন অ্যান্টের। এই পিঁপড়ে বাঁচে মাত্র কয়েক সপ্তাহ। মাছির আয়ুও খুব কম। বাঁচে মাত্র ১৫-৩০ দিন। 

আবার দীর্ঘ আয়ুর প্রাণীর তালিকায় রয়েছে- গ্রিনল্যান্ড হাঙ্গর, যা প্রায় ২৭২-৫১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় ও দীর্ঘজীবী মেরুদণ্ডী প্রাণী। এরা আর্কটিক মহাসাগর ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে বাস করে। ধীর বৃদ্ধির হার ও সম্ভবত মেরামতের বিশেষ জিনের কারণে এদের আয়ু এতো বেশি বলে ধারণা করা হয়।

দীর্ঘজীবী প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো রকফিশ। এটি ২০০ বছরেরও বেশি বেঁচে থাকতে পারে। সেবাস্টেস অ্যালেউটিয়ানাস নামের রকফিশ ২০৫ বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড গড়েছে। রকফিশের দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। এদের বিপাক ক্রিয়া খুব ধীর, ফলে তাদের কোষ ক্ষয়ের হার কম। সমুদ্রের তলদেশে পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকার স্বভাবের কারণে এদের বলা হয় রকফিশ।

বোহেড তিমি বেলেনিডা তিমি পরিবারের একমাত্র জীবিত প্রতিনিধি। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বিশালাকার প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। একদল গবেষক বোহেড তিমির জিন বিশ্লেষণ করেছেন দেখেন, এটি ২৬৮ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই তিমি ৬০ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ২০০ টন পর্যন্ত ওজনের হতে পারে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement