ইউনানী-আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে ‘অল্টারনেটিভ’র পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল’ বলার দাবি
Published : ২১:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’র পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা-প্রাচি। পাশাপাশি সংগঠনটি ৫ জুলাইকে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবার (৫ জুলাই) এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
‘প্রাচি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা. সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ। চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রাচির কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান।
মতবিনিময়কালে চিকিৎসকরা বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজসমূহের সঙ্গে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল লাভ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় অ্যালোপ্যাথিক হাসপাতালে।
এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা। আমাদের এ ধরনের হাসপাতাল না থাকলেও পাশের দেশ ভারতেই বিশ্বমানের চক্ষু, দাত ও ক্যানসারের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে।
প্রাচি মনে করে, বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত। সেইসঙ্গে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি। চিকিৎসকরা দাবি করেন, বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট-২০২৩ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না।
আলোচ্য আইনটি পাসের আগে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতি-নীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক বলে প্রাচি মনে করে। একইসঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিডি/এন