ঢামেকের বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ, চালু জরুরি বিভাগ

ঢামেকের বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ, চালু জরুরি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

Published : ১৩:২৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আশ্বাসে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। তবে এখনো বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার কাজী আবু সাঈদ।

তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সকাল থেকে বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

বহির্বিভাগের গাইনি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. রাজিব বলেন, হামলার ঘটনায় কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা। পরে নিরাপত্তা ও দোষীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাসে জরুরি বিভাগ সেবা চালু হয়। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে।

এর আগে ৩১ আগস্ট সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ৩ চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। একই দিন মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকা থেকে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। 

তখন অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে ৪ জনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা। এতে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।

এদিকে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ৩ চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলায় বিইউবিটি শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement