এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন 

এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন 

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

Published : ১৩:৪৭, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।

এ বছর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, ব্রিজিং গ্যাপস’-এইপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা তাদের মতামত প্রদান করেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শায়েলা কবির; এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. এমরান উর রশিদ চৌধুরী; এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের নেফ্রোলজি বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. টিপু কুমার দাস এবং  চিফ ডায়েটিশিয়ান মিস আসফি মোহাম্মদ।

সূচনা বক্তব্যে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম-এর চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, “বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-এর এ বছরের থিম ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, ব্রিজিং গ্যাপস’কে কেন্দ্র করে এই আলোচনা সভার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের নিয়ে জনমনে পর্যাপ্ত সচেতনতা তৈরি, বিশেষ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের এই রোগ নিয়ে শিক্ষিত করে তুলতে আমাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।”

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শায়েলা কবির বলেন, “ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে হয়ে থাকে। কয়েক প্রকার ডায়াবেটিসের মধ্যে  অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাইপ ২ সবচেয়ে  বেশি দেখা যায়। এই টাইপ ২ ডায়াবেটিস সঠিক খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার কমাতে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিই আমাদের লক্ষ্য।” 

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটিস বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. এমরান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, “যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে এটি হৃদরোগ, নার্ভ ও চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনায় এসব ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের জীবন মান উন্নত করা যায়।” 

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের নেফ্রোলজি বিভাগের অ্যাটেনডিং কনসালটেন্ট ডা. টিপু কুমার দাস বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে উচ্চ শর্করা কিডনির ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত স্ক্রীনিং, রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা কিডনি সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এমন সেশনগুলোর মাধ্যমে রোগী ও সেবা প্রদানকারীরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন বলে আমরা আশা করি।”

চিফ ডায়েটিশিয়ান মিস আসফি মোহাম্মদ বলেন, “ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা এবং প্রচুর ফাইবার, লিন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। আমাদের উদ্দেশ্য রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনে উৎসাহিত করা।”

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement