টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ ফিরে পাবে কি-না জানালেন নাহিদ

কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। তারই জের ধরে ‘টেন মিনিট স্কুল’ এর জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বাতিল করেছিল। সেই বিনিয়োগ আবারো শুরু হবে কি না জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে কেউ যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, অবশ্যই তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে এবং তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে।’

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‌‘আন্দোলনের সময় যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়েছিল। তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময় এবং খুবই স্বৈরতান্ত্রিকভাবে এই কাজটি করা হয়েছিল। আমরা এই বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছি। দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে কাজ করার যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটি পুনরায় চালু করা হবে।’

এদিকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‌‘সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। তরুণদের ব্যাপকভাবে এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। দেশে ও দেশের বাইরে আইটিতে যারা দক্ষ ও নতুন ধরনের কাজ করতে আগ্রহী, তাদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠনের কথা আমরা ভাবছি।’

নাহিদ বলেন, ‘আমরা সরকারের জায়গা থেকে ভাবছি, বিদেশে বাংলাদেশি যেসব তরুণ পড়াশোনা করছে, দক্ষতা অর্জন করেছে- তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা।’

ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে আপনি একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। এর সঙ্গে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা কোনো সংস্থার প্রধান জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো। ইন্টারনেট বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এই প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিচার করা হবে।’