‘অখণ্ড ভারত’-এ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানালো দিল্লি

‘অখণ্ড ভারত’-এ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানালো দিল্লি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Published : ২০:৩২, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। সব ধরনের মতপার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পাশাপাশি ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর কর্মকর্তাদেরও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া। যদি বাংলাদেশ এতে অংশগ্রহণ করে, তাহলে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সব দেশের কর্মকর্তাদের আমরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে তুলতে ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এই বিশেষ উপলক্ষে ১৫০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় আইএমডির ১৫০ বছরের অর্জনকে তুলে ধরার জন্য একটি বিশেষ ট্যাবলোর অনুমোদন দিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) ১৮৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছিল তারও অনেক আগে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় ১৭৮৫ সালে কলকাতা, ১৭৯৬ সালে মাদ্রাজ এবং ১৮২৬ সালে বোম্বেতে প্রথম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

১৮৭৫ সালে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এবং ১৮৬৬ ও ১৮৭১ সালের বৃষ্টির মৌসুমে ব্যর্থতার পর ওই সময় বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ব্রিটিশ প্রশাসন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের রেকর্ড ও বিশ্লেষণ একক সংস্থার অধীনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখান থেকেই আইএমডির যাত্রা শুরু।

শুরুতে আইএমডির সদর দপ্তর ছিল কলকাতায়। ১৯০৫ সালে এটি শিমলায়, ১৯২৮ সালে পুনেতে এবং অবশেষে ১৯৪৪ সালে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement