ইসরাইলের সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যা বললো হামাস

ইসরাইলের সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যা বললো হামাস

TheBusinessDaily

Published : ১৮:৫৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই ইসরাইলের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, তারা গাজা যুদ্ধের অবসান ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে অবশিষ্ট সব জিম্মিকেই মুক্ত করে দেবে।  আর এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা করতে তারা প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি সংশ্লিষ্ট হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়া এসব কথা বলেন। তিনি বলেন ‘আমরা এমন কোনো আংশিক চুক্তি মেনে নেবো না, নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডাকে বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়’।

রয়টার্স,বিবিসি ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৯ জন ইসরাইলি জিম্মি আটক রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইসরাইলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০ জন জিম্মি মুক্তির উল্লেখ ছিল।
এদিকে হামাসের বক্তব্যের জবাবে ইসরাইলের কট্টরপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ হুমকি দিয়ে বলেছেন, এখন ‘হামাসের ওপর নরকের দরজা খুলে দেওয়ার সময় হয়েছে’।

হামাস নেতা খালিল আল-হাইয়া এর ব্যাখ্যা দিয়ে  ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতানিয়াহু ও তার সরকার এ ধরনের আংশিক চুক্তিকে রাজনৈতিক এজেন্ডার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যেটি গাজায় তাদের গণহত্যা ও ক্ষুধার মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নীতির ওপর ভিত্তি করে।
এমনকি তাদের সব জিম্মিকে বলি দিয়ে হলেও তারা এটা করতে চায়’। তবে হামাস কিছুতেই এমনটা হতে দিতে চায় না। তারা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চায়। হামাস কর্মকর্তার ভাষায়, ‘আমরা এখনই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত,
যাতে সব জিম্মির বিনিময়ে একটি নির্ধারিত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো যায়’।

এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বলেছে, তারা হামলার তথ্য যাচাই করছে।
ইসরাইলি বাহিনী আগেই ফিলিস্তিনিদের গাজার অন্য অঞ্চল থেকে আল-মাওয়াসিতে সরিয়ে যেতে বলেছিল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত দুই দিনে তারা ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামোগত জায়গাসহ ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা’ চালিয়েছে।
নেতানিয়াহুর সরকার বলেছে, তাদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে সহায়তার কোনো ঘাটতি নেই। বরং গত ১ মার্চ থেকে হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে গাজায় অবরোধ বজায় রেখেছে, যাতে হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ থাকায় তাদেরকে মৃত বলে ধরা হচ্ছে। যা নিয়ে নিহতের মোট সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। 

এএম

শেয়ার করুনঃ
Advertisement