গাজায় আরও ৫২ নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এমন অবস্থায় গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

রোববার (২০ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দিনভর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং এর ফলে কমপক্ষে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য চুক্তির দাবি জানানোর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হামাস জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি-মার্কিন বন্দি এডান আলেকজান্ডারকে ধরে রাখা প্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে। তবে ওই বন্দির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ১৫৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ২১৯ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৪ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৭৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৪৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।