এবার বাংলাদেশে পানি সরবরাহ বন্ধের আহ্বান বিজেপি এমপির

Published : ০৯:১১, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গী হামলার প্রেক্ষিতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশেও পানি সরবরাহ স্থগিত করা উচিত বলে মন্তব্য করে বিজেপি এমপি নীশিকান্ত দুবে বলেন, ‘গঙ্গা পানির চুক্তি ভুল ছিল এবং এটি কংগ্রেস সরকারের ১৯৯৬ সালের একটি ভুল সিদ্ধান্ত।’
এই জঙ্গী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ভারত। এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানালেন বিজেপির এই এমপি। তিনি কংগ্রেস শাসনামলে করা ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি চুক্তির ত্রুটিগুলি তুলে ধরেন।
দুবে বলেন, গঙ্গা পানির চুক্তি ভুল ছিল এবং এটি কংগ্রেস সরকারের ১৯৯৬ সালের একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
তিনি প্রশ্ন করেন, সন্ত্রাসবাদে জড়িত দেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করার যুক্তি কী? তিনি আরও বলেন, আর কতদিন সাপদের পানি দেব? এখন তাদের পদদলিত করার সময় এসেছে।
নীশিকান্ত দুবে ভারতের সাথে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার গুরুত্ব তুলে ধরে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করার ওপর জোর দেন।
তিনি জানান, লস্কর-ই-তাইয়েবার জঙ্গীদের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
দুবে বলেন, 'লস্কর-ই-তাইয়েবা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে রেখেছে। সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তও নিরাপদ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বারবার বলেছেন, বাংলাদেশে পানি সরবরাহ বন্ধ করা উচিত। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা পানি চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের পানি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে দুবে বলেন, পহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষোভ স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে ১৪০ কোটি ভারতীয় আছে এবং পুরো বিশ্ব তাকে শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখে। সন্ত্রাসীদের বিচার করতে তার সংকল্প পরিষ্কার।'
বিহারে এক সমাবেশে মোদি পহেলগামে হামলার ঘটনায় প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, 'সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি।'
তিনি নিশ্চিত করে বলেন, জঙ্গীদের শাস্তি দেওয়া হবে এবং নিরাপরাধ ব্যক্তিদের প্রাণহানির বিচার নিশ্চিত করা হবে।
পহেলগাম হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে এবং ভারতীয় ফ্লাইটগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিডি/ও