‘অপরাধ করলে হাসিনাকে এনে বিচার করা উচিত’

‘অপরাধ করলে হাসিনাকে এনে বিচার করা উচিত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Published : ০৯:৪১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অপরাধ করে থাকলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। নিউইয়র্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেন ড. ইউনূস।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে আছেন। তাকে ফেরানো (প্রত্যর্পণ) হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘কেন হবে না? অপরাধ করে থাকলে তাকে (শেখ হাসিনা) ফিরিয়ে (প্রত্যর্পণ) এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’ এ সময় নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তার নেই বলেও জানান ড. ইউনূস। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি নির্বাচনে লড়ব?’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। পরে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে, তার কোনো সময়সীমা তার কাছে নেই। যে কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা সামনের মাসগুলোতে সংস্কার সুপারিশ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

তিনি সম্মেলনে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আটকে থাকবে, ততক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি কার্যকর হবে না। এ ব্যবস্থা (অর্থনৈতিক ব্যবস্থা) সর্বাধিক মুনাফাকেন্দ্রিক। ব্যবস্থাটি একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর জন্য সম্পদ তৈরি করছে। এটি ব্যাপক বর্জ্য উৎপন্ন করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছি, তা এ গ্রহ ধ্বংসের মূল। মানুষ একটি ‘আত্মবিনাশী সভ্যতা’ তৈরি করেছে। আর ধনী দেশগুলোর মাধ্যমে হওয়া জলবায়ুর ক্ষতির বোঝা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহন করা উচিত নয়।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনারা আমাদের ওপর যেসব ধ্বংসের ভার চাপিয়েছেন, তা কেন আমরা বহন করব? ক্ষতির কারণ আপনারা, আর ফলাফল ভোগ করছি আমরা।’

ওই অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশকর্মী জেন গুডাল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা আলী জাইদি, গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ তেল কোম্পানি অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী ভিকি হলুব, নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভিয়ানের প্রধান নির্বাহী আর জে স্ক্যারিনজ, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক সংগঠন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কেভিন ডি. রবার্টস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement