ভিপিএন ব্যবহার ‘অনৈসলামিক’!
Published : ১৮:৩২, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি (সিআইআই) জানিয়েছে, ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার ‘অনৈসলামিক’। এ বিষয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিওনিউজে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি (সিআইআই)-এর চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, শরিয়া আইন অনুযায়ী, ভিপিএন ব্যবহার ‘অনৈসলামিক’।
সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধ কন্টেন্টে প্রবেশ করা ‘অনৈতিক’ বা ‘ধর্মবিরোধী অপরাধ’! সেজন্য তিনি পাকিস্তানে এ ধরনের কন্টেন্ট (বিষয়বস্তু) ‘ব্লক’ (বাধা দেওয়া) করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সিআইআই চেয়ারম্যান ডা. রাঘিব হুসাইন নাঈমি এক বিবৃতিতে বলেন, শয়তানকে নিবৃত্ত করার অধিকার সরকার রাখে। তিনি শরিয়া অনুযায়ী ‘অনৈতিক’ এবং ‘নষ্ট কন্টেন্ট’ প্রতিরোধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান।
শরিয়ার অধীনে ভিপিএন ব্যবহার অনুমতিযোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাব ডা. নাঈমি বলেন, ভিপিএন টুল ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্লকড কিংবা অবৈধ সাইটে প্রবেশ করা নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যত্যয়।
ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়, যা সমাজে নৈরাশ্য সৃষ্টি করে থাকে। এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রতারণা করা হয় এবং এ কারণে সাইবার অপরাধ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এটি নির্ভর করে কী উদ্দেশ্যে এবং কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ওপর। ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে ‘ইসলামিক’ ও ‘সমাজের আইন লঙ্ঘন’ করা হয়। মুসলিমদের উচিত, রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন না করা, যা ইসলামিক নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের নৈতিকতা রক্ষায় এক চিঠিতে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)-কে অবৈধ ভিপিএন ব্যবহার ব্লক করার নির্দেশ দেওয়ার পর পরই সিআইআই চেয়ারম্যান নাঈমি এ ধরনের মন্তব্য করলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে পাকিস্তানে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) নিষিদ্ধ করার পর ভিপিএন ব্যবহার বেড়ে যায়। দেশটিতে ২ কোটি মানুষ রোজ ভিপিএন ব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিডি/এন