সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান এইচটিএস প্রধানের
Published : ১৪:৪৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
বর্তমান সিরিয়া তার প্রতিবেশী বা পশ্চিমাদের জন্য হুমকি নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির সিরিয়ার মিলিটারি অপারেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমাদ আল-শারা।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
সিরিয়ার কার্যত নেতা (ডি-ফ্যাক্টো লিডার) আহমেদ আল-শারা বলেন, এখন এত কিছু হওয়ার পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ তারা পুরানো শাসনের লক্ষ্যবস্তু ছিল। শিকার ও নিপীড়ককে একইভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিদ্রােহীগোষ্ঠীগুলাে শারার নেতৃত্বে যা ২ সপ্তাহেরও কম আগে বাশার আল-আসাদের শাসনকে পতন করে। বিদ্রোহী জোটের প্রভাবশালী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতা পূর্বে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকানোর লক্ষ্যে সিরিয়ায় অবশিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
এইচটিএস একসময় সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে এইচটিএস বলছে, তারা এখন নিজেদের বদলে ফেলেছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
এইচটিএস যেভাবে ক্ষমতা নিয়েছে, তা প্রায় রক্তপাতহীন। দামেস্কে পৌঁছে তারা প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালিকে শান্তিপূর্ণভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের এ পর্যায়ে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান আল-শারা।
তিনি বলেছেন, এইচটিএস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। আমরা কখনও বেসামরিক মানুষ বা তাদের এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাইনি। বরং আমরা নিজেরাও আসাদ সরকারের নির্যাতনের শিকার।
আফগানিস্তানের আদলে সিরিয়াকে গড়ে তোলার সম্ভাবনার বিষয়টি নাকচ করে আল-শারা বলেছেন, আফগানিস্তান একটি গোষ্ঠীভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। সেখানে ভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। সিরিয়ায় মানুষের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ আলাদা।
নারী শিক্ষার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ইদলিবে প্রায় আট বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। যতদূর জানি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।
সিরিয়ার মদ্যপান অনুমোদন করা হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, অনেক বিষয় নিয়ে আমার মন্তব্য করার অধিকার নেই। কারণ, এগুলো আইনি ব্যাপার।
আল-শারা জানিয়েছেন, একটি আইনি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সংবিধান প্রণয়ন করবেন। প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও শাসক বা প্রেসিডেন্টকে চলতে হবে।
বিডি/ও