নারী শিক্ষা নিয়ে মতামত জানালেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা
Published : ১৫:১৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল করার পর নারীদের শিক্ষা ও কাজ নিয়ে নানা নিপীড়নমূলক আইন জারি করে। এবার সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন হয়েছে কট্টরপন্থি ইসলামিক গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) কাছে।
এইচটিএস একসময় আল-কায়েদা শাখার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে গোষ্ঠীটি বলছে, তারা এখন নিজেদের বদলে ফেলেছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের আদলে সিরিয়াকে গড়ে তোলার সম্ভাবনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন (এইচটিএস) প্রধান আহমাদ আল-শারা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই নেতা বলেছেন, আফগানিস্তান একটি গোষ্ঠীভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। সেখানে ভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। সিরিয়ায় মানুষের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ আলাদা।
এ সময় নারী শিক্ষার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ইদলিবে প্রায় ৮ বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। যতদূর জানি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।
সিরিয়ার মদ্যপান অনুমোদন করা হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক বিষয় নিয়ে আমার মন্তব্য করার অধিকার নেই। কারণ এগুলো আইনি ব্যাপার।
আল-শারা জানান, একটি আইনি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সংবিধান প্রণয়ন করবেন। প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও শাসক বা প্রেসিডেন্টকে চলতে হবে।
বিডি/ও