হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা, নিহত ২০৭
Published : ২৩:০৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
হাইতির সিটি সোলেইলে অপরাধী গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বে অন্তত ২০৭ জন মারা গেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ক্যারিবীয় এই দেশে চরম খাদ্য সংকটের সাথে সাথে অপরাধী গোষ্ঠী বা বিভিন্ন গ্যাংয়ের সক্রিয়তা রয়েছে।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-ও-প্রিন্সের এই পাড়াটি বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য কুখ্যাত বেশ কয়েক বছর ধরেই। এর আগে জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছিল ১৮৭। পোর্ট-ও-প্রিন্সের বন্দরের নিকটবর্তী এই পাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে চলে খুনোখুনি ও মারামারি।
হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর প্রায় তিনশ সদস্য মিলে অন্তত ১৩৪জন পুরুষ, ৭৩জন নারীকে হত্যা করে বলে বলা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিবেদনে। নিহত ব্যক্তিদের অনেকেই বয়স্ক নাগরিক, যাদের বিরুদ্ধে তুকতাক জাদু করার অভিযোগও রয়েছে।
হোয়ার্ফ জেরেমি গ্যাঙের নেতা মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স এই হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। তার সন্তান অসুস্থ হলে তিনি বলেন যে, এই অসুস্থতা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘ভুডু' জাদুর কারণে। জাতিসংঘ বলছে যে, নিহতদের বিভিন্ন ভুডু মন্দির ও ধর্মীয় আচার চলাকালীন তুলে আনা হয়।
ক্যারিবীয় এই দেশে চরম খাদ্য সংকটের সাথে সাথে রয়েছে অপরাধী গোষ্ঠী বা বিভিন্ন গ্যাঙের সক্রিয়তা। হাইতির পড়শি দেশগুলি হাইতিকে নিরাপত্তা সহায়তা দেবার কথা বলে এলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি৷ সাম্প্রতিক এই হত্যালীলায় স্তব্ধ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চল।
জাতিসংঘের মতে, গত ১৫ বছর ধরে হাইতির একাধিক বন্দর, বন্দর সংলগ্ন এলাকায় গুদাম ও জাতীয় সড়ক অঞ্চলগুলি মিকানোর গ্যাঙের দখলে রয়েছে।
হত্যালীলা চালানোর পর গ্যাঙের সদস্যরা মোবাইল ফোন হাতিয়ে, লাশ পুড়িয়ে সেই দেহাবশেষ সাগরে ফেলে সকল প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হাইতিতে পাঁচ হাজার তিনশ জনেরও বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। ২০২২ সালের শুরু থেকে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজারে, জানাচ্ছে জাতিসংঘ৷ দেশের ভেতরেই উদ্বাস্ত হয়ে পড়েছেন সাত লাখেরও বেশি মানুষ। তথ্যসূত্র: রয়টার্স
বিডি/এন