স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে মিয়ানমার
Published : ১৩:৫১, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
মিয়ানমারের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৮০ জন বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।
এছাড়া গণ সাধারণ ক্ষমার অংশ হিসাবে অন্যান্য বন্দিদের সাজা কমিয়েছে। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বন্দির মুক্তির ঘোষণা দিয়ে থাকে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পায়। তারপর থেকে দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশটি।
বন্দি মুক্তির মধ্যে সামরিক বাহিনী কর্তৃক গৃহবন্দি ৭৯ বয়সি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি রয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। ২০২১ সালে সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর আনা অভিযোগে ১৪টি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন সু চি।
এছাড়া সেনা শাসনের বিরোধিতাকারী হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিদের মধ্যে কেউ মুক্তি পাবে কিনা তাও তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি টেলিভিশন জানিয়েছে, সামরিক সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমার ৫৮৬৪ স্থানীয় এবং সেই সাথে ১৮০ বিদেশিকে মুক্তি দেবে।
নভেম্বরের শেষের দিকে আন্দামান সাগরে সামুদ্রিক সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর ৪ থাই জেলেকে আটক করে। এই ৪ জন মুক্তি দেওয়া বিদেশিদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, তিনি আশা করছেন স্বাধীনতা দিবসে ৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিডি/ও