ড্রাগন ফলের যত জাদুকরী গুণ

ড্রাগন ফলের যত জাদুকরী গুণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

Published : ১৬:২৫, ২১ আগস্ট ২০২৪

বর্তমানে ড্রাগন ফল সবার কাছেই বেশ পরিচিত। দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। নব্বইয়ের দশক থেকে বাণিজ্যিক ভাবে এ ফলের প্রচলন শুরু হয় এই দেশে। বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাহিদার সাথে সাথে উৎপাদনও বাড়ছে।

ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল।

এর ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। তবে এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এক কাপ ড্রাগন ফলে ক্যালোরির মাত্রা ১৩৬, প্রোটিনের মাত্রা ৩ গ্রাম, ফ্যাটের মাত্রা শূন্য, ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ।

ড্রাগন ফলের জাদুকরী গুণ সম্পর্কে জেনে নিন-

১) ড্রাগন ফল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এই ফলের নিয়মিত সেবন করলে রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

২) এই ফলে ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাছাড়া এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতেও সহায়তা করে। এটি বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন- ক্যানসার, ডায়াবেটিস, অ্যালজাইমার ও পারকিনসন এর মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

৩) হজমের জন্য ভালো এই ফল। এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে হজম ক্ষমতাও ভালো হয়। তাছাড়া এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৪) হার্টের জন্য উপকারী ড্রাগন ফল। এর ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো হার্টের জন্য খুবই ভালো। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়। তাই এই ফল খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

৫) হাড়ের জন্যও ভালো ড্রাগন ফল। এর প্রায় ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে ও হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে জয়েন্টের ব্যথা, ফ্র্যাকচার বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।

৬) এটি চোখের জন্যও উপকারী। এতে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল চোখের বিভিন্ন সমস্যা- যেমন ছানি পড়ে যাওয়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৭) গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী এই ফল। এতে ভিটামিন বি, ফোলেট ও আয়রন রয়েছে। তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল। ভিটামিন বি ও ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি সরবরাহ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement