বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড মিথ্যা নাকি সত্য বলছে, বোঝার উপায়

বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড মিথ্যা নাকি সত্য বলছে, বোঝার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

Published : ১৭:০০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভয়ংকর রকমের প্রয়োজন না হলে মানুষ সাধারণত মিথ্যার আশ্রয় নেয়না। তবে একটু আধটু  টুকটাক মিথ্যা কথা অনেকেই বলেন। তাতে আহা মরি ক্ষতি হয় না। তবে অনেকেই আছেন যারা আবার চোখেমুখে মিথ্যা কথা বলেন।

বিশেষ করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে না থাকলে অথবা আস্থা না থাকলে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড একে অপরকে মিথ্যা কথায় ভাসিয়ে রাখেন। ফলে প্রায় সময়ই বিপদে পড়েন ছেলে ও মেয়েরা। অধিকাংশক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি বিপদে পড়ে থাকেন। এপরিস্থিতিতে তারা বুঝতে পারেন না মিথ্যা কথা ধরবেন কীভাবে।

সম্পর্কের মধ্যে মিথ্যা নিয়ে আর নয় চিন্তা। আজকের এই প্রতিবেদনে এই সমস্যার সমাধান বলে দেওয়া হয়েছে। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো পেলেই বুঝতে পারবেন প্রেমিক/প্রেমিকা সত্য লুকাচ্ছে।

চলুন জেনে নেই বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড মিথ্যা নাকি সত্য বলছে, বোঝার উপায়—

১) চোখ নামিয়ে বা অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলা :

মিথ্যা কথা বলার সময় সাধারণত আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। তাই সেই সময়টায় চোখে চোখ রাখা যায় না। আর এটা হলো মিথ্যার প্রথম লক্ষণ। তাই এবার থেকে কথা বলার সময় প্রেমিক/প্রেমিকার চোখে চোখ রাখুন। কথা বলার সময় তিনি যদি চোখ নিচু করে নেন বা অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলেন, তাহলে বুঝবেন সমস্যা নেহায়েৎ কম নয়। তলে তলে এতো দূর। তখন তাকে এই বিষয়টা নিয়ে অন্য কোনো প্রশ্ন করুন। তাহলেই দেখবেন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গেছে।

২) কথা আটকে যেতে পারে​ :

ইচ্ছে করলেই মিথ্যা বলতে পারবেন না। আর তাছাড়া মিথ্যা কথা বলা কোনো সহজ কাজ নয়। এই সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন হরমোন একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই অনেকে মিথ্যা বলার সময় একটু আটকে আটকে যেতে পারেন। তাদের কথায় ফ্লো থাকে না। তাই এবার থেকে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই এই বিষয়টা মাথায় রাখুন। তাকে এমন কিছু করতে দেখলেই সাবধান হয়ে যান। তারপর সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করে নিন। আর কথা আটকে যাওয়া বিষয়ে কথা বললেই রেগে আগুন হয়ে যাবে।

৩) বেশি কথায় জবাব না দিয়ে কথা কেটে দেওয়া

​ পরিকল্পনা করে সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা বলাটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই তারা মিথ্যা বলার সময় কম কথা বলে থাকেন। হ্যাঁ বা না বলেই নিজেদের কাজ সেরে নিতে চান। তাই এরপর থেকে কোনো কঠিন প্রশ্ন করার সময় প্রেমিক যদি বিশদে তা নিয়ে না বলতে চান, ছোট ছোট করে উত্তর দেন, সেক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। নইলে যে আপনি সারাজীবন মিথ্যাই শুনে যাবেন। আপনার আড়ালে বা পিছনে চলতে থাকবে অন্য খেলা। তাই বিষয়টা গুরুত্বসহকারে অবশ্যই মাথায় রাখুন।

​৪) গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাবে​  

অধিকাংশক্ষেত্রেই মিথ্যা বলার সময় গলার স্বর বদলে যায়। অর্থাৎ তারা তখন স্বাভাবিক স্বরে কথা বলতে পারে না। আর এটাই হলো মিথ্যে চেনার অপর একটি সহজ উপায়। তাই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে বলতে প্রেমিক/প্রেমিকা যদি গলার স্বর বদলে ফেলেন, সেক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। তখন একবার তার কথাটা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন। সেখানে একটু ভেজাল বুঝতে পারলে ব্যবস্থা নিন। নইলে যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে সময় লাগবে না।

৫) প্রতিশ্রুতি না দেওয়া

আপনার সঙ্গী যদি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কথা না বলে বা সম্পর্কের বিষয়ে সব সময় দ্বিধাগ্রস্ত থাকে, তাহলে সে বুঝে নেবেন, দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের কথা ভাবছে না।

​৬) সমস্যা সমাধানে সরাসরি কথা বলুন​

প্রেমিককে সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা বলতে হবে। প্রেমিকাকে বুঝিয়ে বলুন যে আপনি তার মিথ্যে ধরে ফেলছেন। তাই আপনাকে আর এই ধরনের কথা বলে লাভ নেই। বরং তিনি আপনাকে সত্যি বললেও আপনি রাগ করবেন না। আশা করছি, এই কাজটা করতে পারলেই আপনি অনায়াসে সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।

তবে এই প্রতিবেদনের লক্ষণ মানেই যে কেউ মিথ্যে বলছেন— এমনটা নাও হতে পারে। তাই এই নিয়ে কথা বলার আগে প্রেমিক বা প্রেমিকা যে মিথ্যা বলছে, সেই বিষয়টা সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হতে হবে। তবে আমল পরীক্ষিত। বিফলে মূল্য ফেরত।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement