অফিসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন যেভাবে

অফিসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

Published : ১৬:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমরা সবাই যার যার অফিসে নিজেকে একটি ভালো অবস্থানে দেখতে চাই। নিজের সম্পর্কে সবার মনে ভালো ধারণা তৈরি করতে অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া চাই। যদিও আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই জানেন সেজন্য কী প্রয়োজন।

নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন করে তোলার জন্য আপনাকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আপনার কিছু কাজ পারে এটা সত্যি করতে। এখনই সময় অফিসের সবার ধারণা পরিবর্তন করার। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার করণীয়- 

১. আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন

কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করুন। এটি সন্তুষ্টি বজায় রাখার অন্যতম চাবি। যখন মানুষ বুঝতে পারবে যে আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেন এবং কথা বলেন, তখন আপনাকে গুরুত্ব দেবে এবং আপনার কাজে মনোযোগও দেবে। যারা নিজেকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলেন, তারা গুরুত্ব এবং সম্মান পান না। 

২. কাজ গ্রহণ করুন সীমিত 

মাল্টি-টাস্কিং একটি দুর্দান্ত দক্ষতা। এভাবে কাজ করাটা বসের মন জয় করার একটি ভালো উপায় হতে পারে, কিন্তু ক্রমাগত অতিরিক্ত কাজ করা একটি বড় ত্রুটি হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার কাজের গুণমান এবং সামগ্রিক কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনি যদি একই সময়ে অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কাজ করেন তবে কোনগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন এবং কোন বিষয়ে ফোকাস করবেন তা নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। তাই নিজের সময় এবং সামর্থ্য বুঝে কাজ নিন।

৩. দায়িত্বশীল হোন

কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়া অত্যাবশ্যক, কারণ এটি আপনার মনোবল বাড়িয়ে দেয় এবং সাফল্য নিশ্চিত করে। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে সবার গুরুত্ব পেতে চান তবে নিজের কাজগুলো মন দিয়ে করতে হবে। যদি আপনার সময়ের কাজ সময়ে করেন, তাহলে তা আপনাকে কাজের প্রতি দায়িত্বশীল একজন হিসেবে প্রমাণ করবে। একজন সৎ কর্মী হিসেবে আপনার উচিত সবাইকে সম্মান করা।

৪. সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন

কাজের বিষয়ে অভিযোগ করা এবং কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচকতা নিয়ে আসা আরেকটি বড় ভুল। এটি ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি করে এবং এটি অত্যন্ত অ-পেশাদার। এমনকি আপনি যদি আপনার কাজ বা বসকে অপছন্দ করেন, তবে প্রকাশ্যে অভিযোগ না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্র, অনানুষ্ঠানিক কাজের ইভেন্ট কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কথা প্রকাশ করবেন না।
অফিসে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন, যাতে করে আপনি নিজেকে ভালো সহকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ফলে আপনি আপনার জায়গা করে নিতে পারবেন। তাদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ বা সাহায্য পাওয়াও সহজ হবে। 

৫. আবেগপ্রবণ হবেন না

শ্রেষ্ঠ কর্মীরা কখনোই তাদের আবেগকে কাজের পথে বাধা হতে দেন না। আপনি যদি আবেগপ্রবণ হন তাহলে লক্ষ্য হারিয়ে ফেলবেন এবং এতে করে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। আপনি যদি সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখেন তবে আপনার সহকর্মীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনার কথা শুনবেন এবং তাদের মতামত দিতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

৬. গসিপে যুক্ত না হওয়াই ভালো

অফিসে আরেকটি ভুল হলো অফিস গসিপে জড়িয়ে পড়া। আপনার সহকর্মীদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা এড়িয়ে চলুন। কারণ এই অভ্যাসের কারণে আপনি পরবর্তী সময়ে গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন। মানুষের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। গসিপিং আপনাকে অবিশ্বস্ত করে তুলবে। যা কর্মক্ষেত্রে আপনার অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি নেতৃত্বের অবস্থানে থাকেন বা ভবিষ্যতে একজন হতে চান। সেই সঙ্গে গসিপ কাজের পরিবেশ নেতিবাচক করে তোলে। 

৭. সুযোগ গ্রহণ করুন

আপনি যদি কর্মজীবনে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে যেকোনো সুযোগ আসা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি আকর্ষণীয় কোনো অফার পান-তবে সেই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। অনেকে কেবল চাকরি নিয়েই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং আর কোনো বিকল্প রাখেন না। আপনি যদি কেবল চাকরি করতেই ভালোবাসেন তবুও নিজের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা ভালো। কোনো সুযোগ পাওয়ার পর যদি উপেক্ষা করেন বা দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন, তবে সেই সুযোগ হারিয়ে যেতে পারে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement