প্রেমিকার মন জয় করার ৫৫ উপায়

Published : ২০:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
নারী মানেই রহস্যের আধার। নারী মানেই বৈচিত্র্য। নারীর মন জয় করতে যা লাগে তা নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতি ও ভালো কাজের উপর। কী কথা শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না?
তাহলে জেনে নিন মেয়েদের মন জয় করার ১০০০ উপায়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৫৫টি উপায়:
১) কোনও মেয়েকে কখনো মনের কথা হুট করে বলে ফেলবেন না। কারণ, এতে আপনার প্রতি তার অবহেলা চলে আসবে।
২) মেয়েরা সবসময় বিপরীত দিকে আকর্ষণ বেশি হয়। আপনি যত মেয়েদের এড়িয়ে চলবেন তত তারা আপনার দিকে অগ্রসর হবে। এজন্যই চালাক ছেলেরা ডোন্ট কেয়ার মনোভাব তাদের সামনে দেখায়। ফলে, সহজেই মেয়েদের মন জিতে নেয়।
৩) মেয়েদের নামে ভুলেও বাজে কিছু বলবেন না। বিশেষ করে আপনি যাকে পছন্দ করেন।
৪) মেয়েদের প্রশংসা করতে শিখুন। এতে সঙ্গীর মন পেতে সহজ হবে।
৫) আপনি যাকে মনের মানুষ বানাতে চান পছন্দ ও অপছন্দ জিনিস জেনে নিন। কাজ সহজ হবে।
৬) সঙ্গীর পছন্দের কাজগুলো বার বার দেখানোর চেষ্টা করুন। এতে সঙ্গী খুশি হবে।
৭) পরিচ্ছন্ন-গোছগাছ কেবল উচ্চতাই নিজেকে উপস্থাপন করার গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর না। মূল বিষয় হচ্ছে নারী লক্ষ করে কোন পুরুষ নিজের বিষয়ে কতোটা সচেতন। পুরুষকে যথার্থ সতর্ক থাকতে হবে প্রথম দেখায়। হতে হবে নিজের প্রতি যত্নশীল, মনে রাখবেন এলোমেলো চুল, নোংরা নখ, দুর্গন্ধযুক্ত মোজা, কালি ছাড়া জুতা, শার্ট বা জিন্সে দাগ এমন যে কোনও বিষয় হতে পারে অপছন্দ করার অন্যতম কারণ।
৮) পোষাক জ্ঞান খুব দামি কাপড় পরে নারীর সামনে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, পোশাকটি অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আধুনিক ডিজাইনের হতে হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে, যেন পোশাকে সাবলিল থাকা যায়। যাতে করে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। ব্যক্তিত্ব জ্ঞান নারীর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল যে তারা পুরুষের বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন রসবোধের বিষয়টি উপভোগ করে। দায়িত্ববোধ মেয়েরা দায়িত্ববান পুরুষ পছন্দ করে।
৯) ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-পুরুষের দায়িত্ব হচ্ছে নারী সঙ্গীটিকে নিরাপদে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা। কখনোই তাকে পেছনে ফেলে নিজে এগিয়ে না যাওয়া। বেড়াতে যাওয়া বা খাবার এমন বিষয়ে তার পছন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ,গুরুত্ব দেওয়া।
১০) নারী সঙ্গীর সাজের প্রশংসা করতে হবে। নারী সঙ্গীর দেওয়া উপহার সানন্দে গ্রহণ করতে হবে। তার রান্নার প্রশংসা করুন।
১১) শান্ত স্বভাব অনেক পুরুষের বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা খুব অল্পতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই আবার রাগ কমে যায়। পুরুষের কাজ হবে, কিছুটা সময় শান্ত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্তিপূর্ণ রাখা।
১২) নারীরাও আজকাল রাগী, আক্রমণাত্বক সঙ্গী পছন্দ করে না। রাগ করার মতো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে নারী সঙ্গীকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। নারীকে সম্মান করতে হবে।
১৩) সময়ানুবর্তী হতে হবে।
১৪) সঙ্গীর মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবেন আপনি তার চোখেই চোখ রেখে কথা বলুন, কিছুক্ষণের জন্য তার সমস্ত মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবেন।
১৫) আপনি কি ভাই খুব ফিটফাট গোছালো? প্রথমেই মাইনাছ! কিছুটা অগোছালো, এলোমেলো ছেলেই নাকি সুন্দরী মেয়েদের বেশি পছন্দ! তাহলে আপনার সঙ্গীর মন পেতে পারেন।
১৬). চোখই আপনাকে বলে দেবে হাসিটা সত্য নাকি মিথ্যা মুখে তো সকলেই হাসেন, কিন্তু সেই আন্তরিক কিনা কীভাবে বুঝবেন? আন্তরিক হাসিতে ঝলমল করে ওঠে মানুষের চোখ, যা কৃত্রিম হাসিতে হয় না। একটু লক্ষ্য করুন, নিজেই বুঝতে পারবেন।
১৭) মানুষটি আগ্রহী কিনা অনেক কথা বলছেন আপনি। কিন্তু সামনের মানুষটি আগ্রহ নিয়ে শুনছে কিনা একটু লক্ষ্য করলেই জানা যায়। তাই খেয়াল রাখুন।
১৮) চোখে চোখে কথা বলা ভালো লক্ষণ পরস্পরের চোখের ভাষা বুঝতে পারা, চোখের ইঙ্গিত ধরে নেয়ার ক্ষমতাটি আসলে ভালোবাসার লক্ষণ। দুটি মানুষ যখন পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাস তখন তারা সেটা পারেন।
১৯) চোখ জানিয়ে দেয় প্রতারণার কথা বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে মিথ্যুকেরা চোখে চোখ রেখে কথা বলে না। কিন্তু এই ধারণা কিন্তু অনেকটাই ভুল।
২০) মেয়েরা নববর্ষ, জন্মদিন, ভালোবাসা দিবস ইত্যাদি এইসব দিনে একটু বেশি আবেগি থাকে তাই এই সব দিনে যদি একটা উপহার প্রিয়জন কে দিতে পারেন তাহলে তাহলে আপনার সম্পর্ক আরও ভালো হবে। চালাক ছেলেরা মেয়েদের আবেগের দিনগুলোতে কম দামি ও সামান্য উপহার দিয়েই মন জিতে নেয় সারাবছরের জন্য।
২১) আপনি যাকে পছন্দ করেন তার সাথে কথা বলার সময় মুচকি হাসি দিন। মেয়েরা ছেলেদের মুচকি হাসি ভীষন পছন্দ করে।
২২) আপনার ভালো লাগা গুলো তার সাথে শেয়ার করুন। এতে মেয়েটি আপনার প্রতি মনোযোগ দিবে। তবে সবাই না।
২৩) আপনি কোথায় কি করেন সেটা তাকে জানান। এতে মেয়েটি আপনাকে সৎ ভাবতে শুরু করবে। এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
২৪) ভুলেও তার সাথে কখনো মিথ্যা কথা বলবেন না। মেয়েরা মিথ্যাবাদী ছেলেকে পছন্দ করে না।
২৫) মেয়েরা সবসময় আত্মবিশ্বাসী ছেলেকে পছন্দ করে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন।
২৬) সাহসী হোন, নিজের মধ্যে সবসময় সাহস কাজ করাতে হবে। মেয়েরা সাহসী ছেলেদের পছন্দ করে। এদিক থেকে রাজনীতি করা ছেলেরা এগিয়ে।
২৭) যার মনজয় করতে চান তার সব কাজে সব সময় প্রশংসা করুন। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।
২৮) প্রশংসা যেন কখনো বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
২৯) তাকে নিয়মিত কিছু উপহার দিন তার ভালো লাগা কিছু যা সে পছন্দ করে।
৩০) তার মন ভালো রাখার জন্য নানা ধরণের হাসির গল্প তাকে শোনান। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
৩১) তাকে আপনার মনের মত করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তবে জোর করে নয়। অবশ্যই তাকে স্বাধীনতা দিন।
৩২) ভালোবাসার প্রথম শর্ত হল প্রিয় মানুষটার কাছে সৎ থাকা। তার কাছে কোনও কিছুই গোপন করা যাবে না। আপনে সারাদিন যা করেন তা তার সাথে শেয়ার করুন।
৩৩) আপনার প্রিয়তমাকে তার দূর্বলতার কথা তুলে রাগানো যাবে না। এটা মেয়েরা পছন্দ করে না।
৩৪) কখনো যেন আপনার সঙ্গী বুঝতে না পারে যে আপনি তাকে এড়িয়ে চলছেন কারণ, নিজের অর্থসম্পদের চেয়ে তাকে বেশি ভালোবাসতে হবে। প্রত্যেক নারী তার প্রিয়জনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালোবাসা পেতে চায়। নারী চায় তার প্রিয়মানুষ তার প্রতি যত্মবান হোক। সবকিছুর উর্ধ্বে তাকে দেখুক।
৩৫) আপনার ব্যক্তিত্ব কি কমেডি তাহলে আপনার প্লাস পয়েন্ট। কারণ, মেয়েরা হাস্য-রস পছন্দ করে। যেসব ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসি তামাশা করতে পারে, মেয়েরা ঐসব ছেলেদের পছন্দ করে। তবে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
৩৬) শুধু যৌনতার জন্য সম্পর্ক কিনা ভেবে দেখুন। কেবল যৌনতার জন্য প্রেম হলে তার কোনও ভবিষ্যৎ হয় না। কখনোই হয় না। কথাটা কখনো ভুলে যাবেন না।
৩৭) আপনার ভালো লাগার চেয়ে আপনার প্রিয়তমার দিকে বেশি খেয়াল রাখুন ।
৩৮) আপনি কি একটু রাগী? রাগটা আড়াল করে রাখুন। রাগী ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না।
৩৯) আপনার ভবিষৎ কি তা তার সাথে শেয়ার করুন। তার থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিন। নিজেও পরামর্শ শেয়ার করুন।
৪০) ভালোবাসার প্রথম শর্ত হল প্রিয় মানুষটার কাছে সৎ থাকা। তার কাছে কোনওকিছুই গোপন করা যাবে না। তাই আপনি কোন কিছু গোপন করবেন না। তার সাথে আপনার সব কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
৪১) প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। সে কি জানতে চায় সেদিকে থেয়াল রাখতে হবে।
৪২) নিজের পরিবারের সম্পর্কে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে মেয়েরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে। আপনাকে সৎ ভাবতে শুরু করব। আপনার প্রতি সে দুর্বল হয়ে যাবে।
৪৩) ফেলে আসা জীবনে যেসব মেয়েদের সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। সেসব গল্প যদি সে কখনো জানতে চায় তবেই বলা যেতে পারে।
৪৪) আপনাকে একজন ভাল শ্রোতা হতে হবে। কারণ, মেয়েরা কথার ছলে গল্প বলতে ভালোবাসে।
৪৫) প্রিয়তমার সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগ প্রকাশ করে কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুশি হয়। এটি মেয়েদের খুব পছন্দ।
৪৬) আপনার মনে বেদনার পাহাড় জাগতে পা্রে। তাই বলে সবাইকে বলে বেড়াবেন এমন নয়। প্রিয় নারীকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে দেবেন না। বরং হাসি খুশি থাকুন। এতে আপনাকে দায়িত্বশীল ভাববে।
৪৭) কথায় বলে প্রকৃতি শুন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন। তাকে ঘনঘন সময় দিন।
৪৮) প্রিয়মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। তার বিপদে সবসময় পাশে থাকুন।
৪৯) প্রিয় নারীর সঙ্গে কখনো অন্য কারো তুলনা করবেন না। কোন নারীর তুলনা পছন্দ করেন না। আর তুলনা করা বিষয় কখনোই উচিৎ নয়। সবার একটা নিজস্বতা রয়েছে। প্রিয় মানুষের নিজস্বতার মধ্যে কখনো কারো অনুপ্রবেশ ঘটতে দিবেন না। সে ইউনিক আপনার জন্য।
৫০) প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধত্ব করা যায় না বলে অনেকে মনে করেন। এটি একটি ভুল কথা। আগে বন্ধুত্ব পরে প্রেম। কথাটি সবসময় মনে রাখবেন।
৫১) কখনোই প্রেমিকার বিশ্বাসে আঘাত করবেন না। তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনাকে সম্মান করুন। সে যদি কখনোই আপনার নাও হয়, তবুও তাকে আঘাত করবেন না।
৫২) প্রিয় মানুষের দেহের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন, শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ভালোবাসুন মনে থেকে। তাহলে শরীর মন দুটোই সুষমভাবে পাবেন।
৫৩) তাড়াহুরো করে আপনার কথা তাকে বোঝাতে যাবেন না। কারণ মেয়েরা ধৈর্যশীল ছেলেদের ভীষণ পছন্দ করে।
৫৪) সারাজীবন কাউকে কাছে পেতে চাইলে তাকে সহজে কাছে পাওয়ার আশা না করে তাকে জয় করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, নারীকে দখল করা যায় না জয় করা যায়।
৫৫) মেয়েদের সম্মান দিতে শিখুন। তাতে আপনার সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা আসবে। প্রত্যেক ধর্মেই বলা আছে সম্মান দিলে সম্মান পাবেন। বিষয়টাকে গুরুত্ব দিন।
বিডি/এন