বুড়িয়ে যাচ্ছেন? জেনে নিন বয়সের ছাপ কমানোর উপায়
Published : ১৪:৪২, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকে কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বার্ধক্যের দাগ, বলিরেখা, মুখের সুক্ষ্ম রেখা ইত্যাদি চেহারায় দেখা যায়। মূলত বার্ধক্যের কারণে হলেও অনেক সময় পরিবেশ ও জীবনযাপনের কারণে প্রত্যাশিত সময়ের আগেই চেহারায় বলিরেখা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে।
চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে এই ৫টি উপায় অনুসরণ করতে পারেন:
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের জন্য উপকারী। এটির এক ধরনের নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা ও অন্যান্য দাগ সারিয়ে তারুণ্য নিয়ে আসে। দিনে দুবার কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মুখে মেখে নিন এবং প্রতিবার ১০ মিনিটের জন্য আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এর সুফল পেতে পারেন।
ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক
ওটমিল একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের অস্বস্তিকর ভাব এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে সাবানের মতোও কাজ করে থাকে।
মধু ও দইয়ের সঙ্গে মিক্স হয়ে এটি ডেড সেল পরিষ্কার করে এবং চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখে। এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনাকে কেবল ১ টেবিল চামচ ওটমিল, দই এবং মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শসা, মধু, গ্রিন টি মাস্ক
সাধারণত সেনসিটিভ ত্বকে দ্রুত বার্ধ্যকজনিত বলিরেখা দেখা যায়। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
মাস্কটির জন্য প্রয়োজন শসা, মধু ও গ্রিন টি
শসা ত্বক সতেজ রাখতে বহুল পরিচিত, পাশাপাশি গ্রিন টি ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেয়। মাস্কটি বানানোর জন্য শুরুতে কিছু শসা পাতলা করে কেটে মধু এবং গ্রিন টির মিশ্রণে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। স্লাইসগুলো ১৫ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কলার মাস্ক
কলা ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এই মাস্কটি বাসায় তৈরি করা সবচেয়ে সহজ মাস্কগুলোর মধ্যে একটি। এটি তৈরি করার জন্য শুরুতে একটি কলা নিয়ে তা মসৃণভাবে ভর্তা করতে হবে। আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় তবে কিছু টক দই যোগ করতে পারেন। এটি আপনার মুখে ৩০ মিনিটের জন্য মেখে নিন। তারপর পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে ফেলুন। আপনার প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা ত্বকের কোষগুলোতে থাকা ফ্রি রেডিক্যাল কমায়। গ্রিন টি ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি এবং চারপাশের দূষণ যা ত্বকের ক্ষতি করে সেসব থেকেও ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এটি অকাল বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের পক্কেও ভালো। তাই দিনে ২ কাপ গ্রিন টি পান করা ত্বক ও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
বিডি/এন