জেনে নিন ভালোবাসা নিয়ে অদ্ভুত ও অজানা মনস্তাত্ত্বিক তথ্য
Published : ২৩:২২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
জেনে নিন ভালোবাসা নিয়ে অদ্ভুত ও অজানা মনস্তাত্ত্বিক তথ্য
১) একজন পুরুষ একজন নারীর তুলনায় অনেক দ্রুত প্রেমে পড়ে। অর্থাৎ নারীদের কারোর প্রেমে পড়তে যদি পনেরো দিন সময় লাগে, তাহলে পুরুষদের প্রেমে পড়তে সময় লাগে মাত্র আট সেকেন্ড।
২) হ্যা সিনেমায় কিছুটা ঠিকই বলে। ভালোবাসা সত্যিই অন্ধ। অন্তত সাইকোলজি তো তাই বলছে। যারা সত্যি ভালোবাসে তাদের কাছে এটা কোন ম্যাটারই করেনা যে তাদের প্রেমিক/প্রেমিকা কে লোকে খারাপ বলে না ভালো। হাজার খারাপ হলেও তাদের চোখে তাদের প্রেমিক/প্রেমিকা সবসময় পারফেক্ট।
৩) ‘ভালোবাসা মন দেখে হয়’- মনস্তত্ত্বের বিচারে এটা ডাহা মিথ্যে রটনা। সাইকোলজি বলছে, ভালোবাসা সবসময় শুরু হয় কোন মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য্য বা শারীরিক আকর্ষণ থেকেই। তারপর মন, মানবতা, ভবিষ্যৎ এসব ব্যাপার আসে
৪) হৃদয় ভঙ্গের যন্ত্রনাকে খুব হালকা ভাবে নেওয়ার কিছু নেই। সাইকোলজিস্টদের মতে মানব ব্রেন এই যন্ত্রনাকে ট্রিট করে প্রচন্ড শারীরিক যন্ত্রনা হিসেবেই।
৫) সাইকোলজিস্টদের মতে, ভালোবাসা হল ড্রাগের মতই। অনেকটা নেশার মত। একবার এই নেশায় আক্রান্ত হলে তাকে থামানো খুবই কঠিন হয়ে যায়। যতই ভালোবাসা সে পাক, কিন্তু সবসময়ই সে আরও বেশি চাইবে
৬) অনেকেই বলে দেখবেন, যে মনের মিল না হলে দুটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা কখনোই সম্ভব হয়না। জানিয়ে রাখি, এই তথ্যটা একদমই ভুল। মনস্তত্ত্ব বলছে, বিপরীত মনের মানুষদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক বরং আরও বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সিমিলার মনের মানুষদের মধ্যে সম্পর্কের তুলনায়।
৭) আমাদের মনস্তত্ত্ব সত্যিই খুব অদ্ভুত। দুঃশ্চিন্তা হোক বা মন খারাপ, সেই সময় আমরা যদি আমাদের ভালোবাসার মানুষের কথা ভাবি বা ছবি দেখি তাহলে আমাদের ব্রেন আমাদের মন থেকে এই দুঃশ্চিন্তা বা মন খারাপের ফিলিংস মুছে দেয়।
৮) সিনেমাতে যেমন সেই প্রাচীন যুগ থেকেই ভালোবাসার বাসস্থান হিসাবে মানুষের হৃদয় বা দিল বা হার্ট বোঝানো হয়েছে, তা কিন্তু ভুল। ভালোবাসার ফিলিংস এর সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের কোন সম্পর্কই নেই। ভালোবাসার ফিলিংস তৈরী হয় আমাদের ব্রেনের কিছু কেমিক্যাল রিয়াকশন থেকে।
বিডি/এন