যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি পাওয়ার চেষ্টা চলছে: অর্থ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি পাওয়ার চেষ্টা চলছে: অর্থ উপদেষ্টা

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:৪২, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বাজেট বাস্তবায়নই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জুনের মধ্যে ব্যয় করতে হবে ৪.২৬ লাখ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। আর মার্কিন বাজার থেকে আমদানি বাড়াতে জ্বালানি খাতের বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ’র বৈঠকে অংশ নিতে আগামীকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা। ওই বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস অব ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটেভি (ইউএসটিআর), বিনিয়োগকারী এবং রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। মূলত ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব বৈঠক করবেন অর্থ উপদেষ্টা।

বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি ও মেশিনারিজ আমদানি করি তাহলে ঘাটতি কমবে। তবে ঘাটতি কমানোর জন্য আমরা চাচ্ছি স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্য। বিশেষ করে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে জিএসপি আবার চালু করা বিষয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও জিএসপির সঙ্গে শ্রম আইন ও ট্রেড ইউনিয়ন বিষয় রয়েছে। তবে দেশের তৈরি পোশাকের গুনগত মান রয়েছে। উপদেষ্টা আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে রফতানি বহুমুখীকরণের দিকে নজর দেবে বলে জানান। উপদেষ্টা মনে করেন, বাণিজ্য ইস্যুতে ইউএসের সঙ্গে আরও সম্পর্ক ব্স্তিার করাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। 

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বৈঠকে কি প্রস্তাব দেওয়া হবে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হবে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং ওপেক ফান্ডের কতগুলো প্রকল্প বিষয় সংক্রান্ত ইস্যু আছে সেগুলোর অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দু’টি এবং ওপেক ফান্ডের সঙ্গেও চুক্তি হতে পারে। 

এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাজেশন অব মাইগ্রেশনের সঙ্গেও বৈঠকের পরিকল্পনা আছে। এ সংস্থাটি কক্সবাজারে কাজ করছে। আর রূপপুর প্রকল্পের পেমেন্ট নিয়ে ইউএস ট্রেজারির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এখন অর্থ পরিশোধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক আইএমএফ বৈঠকের বাইরে সেখানের ব্যবসায়ী কাউন্সিলের সঙ্গে আলাপ করব। সেটা আমাদের এফবিসিসিআইয়ের মতো একটা সংগঠন।  যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ৭০টি কোম্পানি রয়েছে। তাদের কাছে এফডিআর ও আমাদের অর্থনীতির বিষয়ে শুনব। একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগকারী আটলান্টিক কাউন্সিলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক: টিসিবির জন্য ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের মূল্য ১৬১ টাকা ও  সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৮৫ পয়সা। সয়াবিন তেল কিনতে মোট ৩৬৫ কোটি টাকা এবংর্ রাইস ব্রান তেল কিনতে ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।  এছাড়া দুই কার্গো এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩৭ কোটি টাকা।

এনই

শেয়ার করুনঃ
Advertisement