ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষকের অপসারণ দাবি আহমাদুল্লাহর

ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষকের অপসারণ দাবি আহমাদুল্লাহর

ডেইলি বিজনেস ডেস্ক

Published : ১৪:৩৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি থেকে দুই সদস্য কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আহমাদুল্লাহ নিজের ফেসবুকে পেজে এক পোস্টে এ দাবি করেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কী পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সাথে সুস্পষ্ট বেঈমানি।

এই পোস্টের কমেন্টে  কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফার কয়েকটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তিনি।
 
কমেন্টে বক্সে আহমাদুল্লাহ আরও লিখেন, অবাক করা ব্যাপার হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবু তাদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ওপর। কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করুন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
 
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
 

এনই

শেয়ার করুনঃ
Advertisement