আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব
Published : ১৩:৫৮, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। রোববার (৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
হিসাব তলব করা সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, ডিবিসি নিউজের বার্তাপ্রধান প্রণব সাহা, এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইনডিপেনডেন্ট টিভির বার্তাপ্রধান মামুন আবদুল্লাহ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর, সমকালের সাংবাদিক রামা প্রসাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপসম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন এবং একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন পেশাজীবীর ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ।
তলব করা হিসাবগুলোতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা অর্থপাচার বা অনিয়মের কোনো প্রমাণ মিললে এসব হিসাবের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্ত করতে দিয়ে থাকে বিএফআইইউ।
বিডি/এন