‘হাসিনার ওপর রাগ হয় না আপনার’ আসিফ নজরুলের প্রশ্নে যা বললেন খালেদা জিয়া

‘হাসিনার ওপর রাগ হয় না আপনার’ আসিফ নজরুলের প্রশ্নে যা বললেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১৪:১৫, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আগামীকাল মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে রাত ১০টায় কাতারের একটি বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ছাড়ে যাবেন তিনি।

যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়ার লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার একদিন আগে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মাণে যেন ভূমিকা রাখতে পারেন সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন এই উপদেষ্টা।

ওই পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেছেন, চিকিৎসার জন্য নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেরকম একটা সময়ে আমি উনার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে যাই। একান্তে কথা হয় কিছুক্ষণ উনার বাসভবনে। বেগম জিয়া গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করেন। জানান সবসময় তিনি খবর রাখেন দেশের।

তিনি লিখেছেন, আমি উনার স্বাস্থ্যের কথা, হাসিনা শাসনামলের দুঃসহ সময়ের কথা জানতে চাই। লক্ষ্য করি তিনি একবারও শেখ হাসিনার নাম নিচ্ছেন না। অবশেষে সরাসরি জানতে চাই: এতো সাফার করলেন আপনি, শেখ হাসিনার ওপর রাগ লাগে না আপনার?  তিনি একটু নীরব থাকেন। তারপর ম্লান কণ্ঠে বলেন, ‘রাগ করে কী করবো বলেন! আল্লাহ-র কাছে বলি’।

খালেদা জিয়ার এমন কথায় অবাক হয়েছেন জানিয়ে আসিফ নজরুল আরও লিখেছেন, ‘আমি অবাকই হই। পনেরটা বছর শেখ হাসিনা কী জঘন্য ও অশ্লীল মিথ্যাচার আর নির্মম নির্যাতন করেছেন বেগম জিয়া’র প্রতি এবং একইসঙ্গে উনার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে! অথচ একটা খারাপ শব্দও তিনি উচ্চারণ করলেন না শেখ হাসিনাকে নিয়ে’।

সবশেষে বেগম জিয়ার লন্ডন যাত্রা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগামীকাল বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন লন্ডনে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আবার যেন ভূমিকা রাখতে পারেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মাণে।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement