ফার্মগেট ও পূর্ব রাজাবাজারে জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা

Published : ১২:৫০, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
জামায়াত এদেশে বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ ও সুখী সমৃদ্ধ চাঁদাবাজমুক্ত শান্তির সমাজ কায়েম করতে আপোষহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের অংশ হিসাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার, আমতলা, ফার্মগেট এলাকায় শের-ই- বাংলা নগর থানা দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে গণসংযোগ শেষে ফার্মগেট গোল চত্বরে আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমীর আবু সাঈদ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি তারিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় পথ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা শুরা কর্মপরিষদ সদস্য জামিল বিন হোসাইন, আব্দুজ জাওয়াদ, রুহুল আমিন ও তাজউদ্দিন, জামায়াত নেতা হাসান আল বান্না, মমিনুল ইসলাম মিল্লাত, শামীম মন্ডল, নুর আলম হিমেল, রাইয়্যান আত তাহাভী, শেখ ফরিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের থানা সভাপতি আকতার হোসেন, ছাত্রশিবিরের তেজগাঁও কলেজ শাখার সেক্রেটারি জুয়েল আহমেদ, থানা সভাপতি আকরাম হোসেন ও ছাত্রনেতা জুবায়ের আহমেদ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি গনসংযোগের শুরুতে মাগরিবের নামাজের আগে পূর্ব রাজাবাজার মসজিদে মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং পরে পূর্ব রাজাবাজার, আমতলা হয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে ফার্মগেট গোল চত্বরে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জামায়াত এদেশে ন্যায়- ইনসাফভিত্তিক একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমরা এমন এক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের আধিকার নিশ্চিত হবে। দেশে সাংবিধানিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মূলত, জামায়াত একটি কল্যাণকামী ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে আমরা কোন বাধা-প্রতিবন্ধকতায় পিছপা হইনি বরং সবকিছু উপেক্ষা করেই আমাদেরকে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ তাদের সততা দিয়ে ৩ টি মন্ত্রণালয় দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিচালনা করেছেন। এভাবেই জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে চাঁদাবাজ, লুটেরাদের প্রতিহত করে রাষ্ট্রের সকল স্তরে সততার সর্বোচ্চ নজীর স্থাপন করতে চায়। এজন্যই এখন জামায়াত গণমানুষের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে।
আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটা সুখী, সমৃদ্ধশালী, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় দেশ ও জাতির মুক্তি মিলবে না।
বিডি/ও